শেখ হাসিনার পরিবারের ১০ সদস্য ভোট দিতে পারবেন না: ইসি সচিব
Published: 17th, September 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নয় সদস্য আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। ইসি সচিব জানান, ‘‘যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লক আছে, তারা প্রবাসে বসেও ভোট দিতে পারবেন না।’’
আরো পড়ুন:
জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
চাকসু নির্বাচন: ১১৬২ মনোনয়নপত্র বিতরণ
গত এপ্রিলে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর নির্দেশনায় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নয় সদস্যের এনআইডি লক করা হয়।
এনআইডি লক থাকা সদস্যরা হলেন, শেখ হাসিনা, রেহানা সিদ্দিক, সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শাহিন সিদ্দিক, বুশরা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
ইসি সচিব আরো বলেন, ‘‘সংসদ নির্বাচনে দেশভিত্তিক এবং প্রবাসে ভোটের সুযোগ থাকবে। প্রবাসীরা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন, তবে এ জন্য এনআইডি নম্বর বাধ্যতামূলক। যাদের এনআইডি লক আছে, তারা অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন না, ফলে ভোট দিতেও পারবেন না।’’
তিনি বলেন, ‘‘মামলার কারণে বা অন্য কোনো কারণে কেউ বিদেশে থাকলেও এনআইডি আনলক থাকলে ভোট দিতে পারবে।’’
ঢাকা/এএএম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব ন ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ