চাঁদপুরে জমি নিয়ে বিরোধে হাতুড়ির আঘাতে নিহত, ছোট দুই ভাইসহ আটক ৩
Published: 18th, September 2025 GMT
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে বড় ভাই নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম খাজা আহমেদ (৫৫)। এ ঘটনায় তাঁর ভাই নুর মোহাম্মদ খান (৫০) ও শাহজালাল (৪০) এবং শাহজালালের স্ত্রী আসমা বেগমকে (৩৩) আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের সবার বাড়ি চির্কা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যৌথ শরিকানা জমির রাস্তা নিয়ে দুই ভাই খাজা আহমেদ ও নুর মোহাম্মদ খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গতকাল রাতেও তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নুর মোহাম্মদ খান হাতুড়ি দিয়ে বড় ভাই খাজা আহমেদকে আঘাত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা খাজা আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ আলম বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ খানসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ম হ ম মদ খ ন আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাইভেটকারে দুই সিলিন্ডার দেখে সন্দেহ, একটি কাটতেই বেরিয়ে এল ৪০ হাজার ইয়াবা
সড়কে তল্লাশিচৌকিতে থামানো হলো একটি প্রাইভেট কার। সন্দেহভাজন এ গাড়ির দুই যাত্রী, গাড়ির সিট, চাকা সব জায়গায় তল্লাশি করেও কিছু পাননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে হঠাৎ দেখা গেল গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার দুটি। একটিতে গাড়ির সংযোগ থাকলেও আরেকটি খালি। এরপর খালি থাকা সিলিন্ডারটি কাটতেই বেরিয়ে এল ৪০ হাজার ৪০০ ইয়াবা।
গতকাল বুধবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ সদরের পর্যটন মোড়–সংলগ্ন পুরোনো মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় ওই দিন সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে এ তল্লাশি চালায় টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন গাড়িচালক ও টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরীর মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ছেলে মো.ইয়াসিন (৩৯) এবং একই ইউনিয়নের ছোট হাবীবপাড়ার আবু সামাদের ছেলে রহমত আলী (২৯)।
বিজিবি জানায়, প্রাইভেট কারে থাকা যাত্রী এবং চালকের আচরণ ও গতিবিধি সন্দেহজনক ছিল। এ কারণে গাড়ির ভেতরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করা হয়। পরে গাড়িতে থাকা একটি গ্যাস সিলিন্ডার কাটার পর ভেতরে ছোট কয়েকটি প্যাকেট পাওয়া যায়। এসব প্যাকেটে নামও লেখা ছিল। ইয়াবা পাচারের জন্য গাড়িটি সাড়ে ৮ লাখ টাকা দিয়ে এক সপ্তাহ আগে কেনা হয়েছিল।
জানতে চাইলে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গাড়ির প্রকৃত মালিককে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পরে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, আজ দুপুরের দিকে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।