ত্রিমুখী লড়াই। আজ আবুধাবিতে হতে যাওয়া শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ম্যাচটি তো তা-ই! মাঠে খেলবে দুই দল, কিন্তু মাঠের বাইরে থাকা বাংলাদেশও আছে এ লড়াইয়ে। আজ শ্রীলঙ্কা জিতলে বা ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ। আর আফগানিস্তান জিতে গেলে আসবে রান রেটের হিসাব। যে হিসাবে বাংলাদেশের ছিটকে পড়ার শঙ্কা কিছুটা বেশি।

কারণ, নেট রান রেটে বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান এগিয়ে। শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট ‍+ ১.

৫৪৬, বাংলাদেশের-০.২৭০। আফগানিস্তানের নেট রান রেট ‍+‍ ২.১৫০। তাই বাংলাদেশ সমর্থকেরা আজ শ্রীলঙ্কার ওপর ভরসা করে থাকবে। তবে আফগানিস্তানকে হারানো শ্রীলঙ্কার জন্য খুব একটা সহজ হবে না। দুই দলের অতীত লড়াই সেই আভাসই দিচ্ছে।

টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে ৮টি ম্যাচ। যে লড়াইয়ে ৫-৩ ব্যবধানে এগিয়ে আছে লঙ্কানরা। দুই দল প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেই দেখায় আফগানিস্তান হারে ৬ উইকেটে। তবে সেই আফগানিস্তান আর এই আফগানিস্তান এক নয়। রশিদ খানের নেতৃত্বে দলটি এখন অনেক শক্তিশালী।

সর্বশেষ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ