সুপার ফোরে একাধিক বাড়তি ‘সুবিধা’ পাবে ভারত
Published: 19th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হতে বাকি একটি ম্যাচ। তবু আগেই ঠিক হয়ে গেছে সুপার ফোরের চার দল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে উঠেছে ভারত ও পাকিস্তান। আর ‘বি’ গ্রুপ থেকে জায়গা নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ।
২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সুপার ফোর পর্ব। নিয়ম অনুযায়ী, চার দল একে অপরের মুখোমুখি হবে একবার করে। প্রতিটি দলের সামনে সুযোগ থাকবে তিনটি ম্যাচ খেলার। আর সেখান থেকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল খেলবে ২৮ সেপ্টেম্বরের ফাইনাল।
আরো পড়ুন:
বড় জয়ে শুরু ভারতের
এশিয়া কাপে স্পনসর ছাড়াই মাঠে নামবে ভারত!
তবে সূচি ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, অন্যদের তুলনায় বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত।
বিরতি ও ভেন্যুর সুবিধা:
 ভারতের প্রতিটি ম্যাচের মাঝেই থাকবে বিশ্রামের বিরতি। ২১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে তারা। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর নামবে দ্বিতীয় ম্যাচে। অর্থাৎ দুই দিনের বিরতি থাকবে হাতে। ২৬ সেপ্টেম্বরের শেষ ম্যাচের আগে আবারও থাকবে একদিনের বিরতি। এর পাশাপাশি ভারতের সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ফলে অন্য দলের মতো ভ্রমণের ঝক্কি নেই। একই ভেন্যুর উইকেটে খেলতে নামায় পিচের আচরণ সম্পর্কেও তারা থাকবে বাড়তি সুবিধায়। 
অন্যদের চিত্র:
 শ্রীলঙ্কা ভারতের মতো দুই দিনের বিরতি পেলেও তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে হবে আবুধাবিতে গিয়ে। আর প্রতিপক্ষ হবে পাকিস্তান, যা চাপের। 
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ২০ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিন দিনের বিরতি পেলেও, শেষ ম্যাচ খেলতে হবে পরদিনই অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর। ফলে ক্লান্তি ও পরপর ম্যাচের চাপটা থেকে যাবে লিটন দাসদের ওপর।
সব মিলিয়ে সূচি বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট— সুপার ফোরে ভারতের জন্য তৈরি হয়েছে তুলনামূলক আরামদায়ক পথ। যা তাদের ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে রাখবে শুরু থেকেই।
এক নজরে সুপার ফোরের সূচি-
| তারিখ | প্রতিপক্ষ | ভেন্যু | সময় (বাংলাদেশ) | 
| ২০ সেপ্টেম্বর | বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা | দুবাই | সাড়ে ৮টা | 
| ২১ সেপ্টেম্বর | ভারত-পাকিস্তান | দুবাই | সাড়ে ৮টা | 
| ২৩ সেপ্টেম্বর | পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা | আবুধাবি | সাড়ে ৮টা | 
| ২৪ সেপ্টেম্বর | বাংলাদেশ-ভারত | দুবাই | সাড়ে ৮টা | 
| ২৫ সেপ্টেম্বর | বাংলাদেশ-পাকিস্তান | দুবাই | সাড়ে ৮টা | 
| ২৬ সেপ্টেম্বর | ভারত-শ্রীলঙ্কা | দুবাই | সাড়ে ৮টা | 
| ২৮ সেপ্টেম্বর | ফাইনাল | দুবাই | সাড়ে ৮টা | 
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স স আই স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
আগের দিন রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙেছিলেন বাবর আজম। লাহোরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ১১ রানের ইনিংস খেলেই ভারতের সাবেক অধিনায়ককে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে কেড়েছেন আরেক ভারতীয় কিংবদন্তি বিরাট কোহলির রেকর্ড। ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরের এটি ৪০তম ৫০ ছোঁয়া ইনিংস। ৩৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে এত দিন বাবরের সঙ্গে রেকর্ডটির যৌথ মালিক ছিলেন কোহলি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩ ইনিংস পর ফিফটি পাওয়া বাবরের ইনিংসে ভর করেই লাহোরে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা ৪ উইকেট জিতেছে পাকিস্তান। তাতে তিন ম্যাচের সিরিজটা পাকিস্তান জিতল ২-১ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়িয়েই সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে করে ১৩৯ রান। রানটা ৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।
রান তাড়ায় ইনিংসের ১১তম বলে ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর ব্যাটিংয়ে নামেন এরপরই। দ্বিতীয় উইকেটে সাহিবজাদা ফারহানকে নিয়ে ৩৬ রান জুটি গড়া বাবর তৃতীয় উইকেটে সালমান আগাকে নিয়ে ৫২ বলে যোগ করেন আরও ৭৬ রান। ২৬ বলে ৩৩ রান করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান যখন ফেরেন ২৭ বলে ২০ রান দরকার পাকিস্তানের।
৫ রান যোগ হওয়ার পর চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন বাবর ৪৭ বলে ৯ চারে ৬৮ রান করা বাবর ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরপর ১৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে আরও ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের অপেক্ষা একটু লম্বা করেছে পাকিস্তান।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার রিজা হেনড্রিকস। এ ছাড়া অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরা ১৪ বলে ২৯ ও অলরাউন্ডার করবিন বশ ২৩ বলে করেন ৩০ রান। পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
দুই দল এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার ফয়সালাবাদে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরদক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৩৯/৯ (হেনড্রিকস ৩৪, বশ ৩০*, ফেরেইরা ২৯, ব্রেভিস ২১; আফ্রিদি ৩/২৬, তারিক ২/২৬, ফাহিম ২/২৮)।পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১৪০/৬ (বাবর ৬৮, সালমান ৩৩, ফারহান ১৯; বশ ২/২৪, উইলিয়ামস ২/২৬)।
ফল: পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩-ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-১ ব্যবধানে জয়ী।