মোহামেডান ১–৪ বসুন্ধরা কিংস

ঘুরেফিরে একই ছবি। পার্থক্য শুধু গোলে। গত বছর কিংস অ্যারেনায় চ্যালেঞ্জ কাপ ফাইনালে এক গোলে এগিয়ে থেকেও ৩-১ গোলে হেরেছিল মোহামেডান।

আজ নিজেদের মাঠে একই প্রতিযোগিতায় ১-১ সমতার পর মোহামেডান ম্যাচটা হেরেছে ৪-১ গোলে। ১০ জন নিয়েই জয়ের গল্প লিখেছে মারিও গোমেজের বসুন্ধরা কিংস।

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর কথা ছিল বেলা আড়াইটায়। শুরু হলো ২টা ৪১ মিনিটে। মাঠ প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে ১১ মিনিট বেশি। প্রথমার্ধে দেখা গেল এক অভিনব দৃশ্য—মোহামেডানের ডাগআউটের পাশে মাঠের বাইরে দুজন ঘাস কাটছেন! দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেই দৃশ্য আর দেখা যায়নি।

‎প্রথমার্ধে দুই দলই লড়েছে সমানতালে। ১৪ মিনিটের মধ্যে পাল্টাপাল্টি পেনাল্টিতে ১-১ সমতা। এরপর দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছে, তবে বলের দখলে এগিয়ে ছিল কিংস।

ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ডি-বক্সে দরিয়েলতন গোমেজকে ফাউল করেন মোহামেডানের মেহেদী হাসান। পেনাল্টি থেকে গোল করে কিংসকে এগিয়ে দেন দরিয়েলতন। কিন্তু সেই লিড বেশিক্ষণ টেকেনি।

১৩ মিনিটে মোহামেডানের এলি কেকেকে বক্সে ফেলে দেন তারিক কাজী। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি সায়মন হাসান। স্পট কিক থেকে গোল করে মোজাফফরভ ম্যাচে ফেরান মোহামেডানকে।

১-১ সমতার পর জমে ওঠে লড়াই। কিংস বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও দুই দলই সুযোগ খুঁজছিল। ২৫ মিনিটে কিংসের রাফায়েল অগুস্তো ফ্রি-কিক নিলেন, ইমানুয়েল সানডে হেড দিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। মোহামেডানও কর্নার পেয়েছে, কিন্তু গোলের কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে কিংস চাপ বাড়ায়, কিন্তু মোহামেডানের গোলকিপার সুজন হোসেন দারুণভাবে রুখে দেন কয়েকটা আক্রমণ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বোঝা যায়, লড়াইটা আরও জমবে। দুই দলই গোলের জন্য মরিয়া। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ৬৩ মিনিটে। কিংসের সোহেল রানা সিনিয়র মাঝমাঠে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলেন। ১০ জনের দলে পরিণত হলো কিংস।‎

কিন্তু এরপর যা হলো, সেটা কিছুটা অবিশ্বাস্যই! ১০ জন নিয়ে তিন মিনিটের মধ্যে দুবার গোল করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় কিংস।

‎৭২ মিনিটে এগিয়ে যায় কিংস। সোহেল রানার কর্নার আটকাতে গিয়ে বল শরীরে লেগে সামনে চলে আসে মেহেদী হাসানের। সুযোগ হাতছাড়া করেননি অগুস্তো, বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান। এর দুই মিনিট পর স্বাগতিকদের রক্ষণের ভুলে গোল করেন সানডে।

৮৬ মিনিটে মোহামেডানের ভুলে চতুর্থ গোলও পায় কিংস। সানডের বাড়ানো বল থেকে দরিয়েলতন সহজেই জালে পাঠান।

তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মাঠে স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়েন মোহামেডান সমর্থকেরা। খেলা বন্ধ থাকে পাঁচ মিনিট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ম্যাচ কমিশনার সুজিত কুমার খেলা আবার শুরু করার নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ দিকে আবারও স্মোক ফ্লেয়ার ছোড়া হয়, তবে এবার খেলা বন্ধ হয়নি।

গত মৌসুমে কিংস অ্যারেনায় একই প্রতিযোগিতায় মোহামেডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা–উৎসব করেছিল কিংস। সেই ম্যাচেও স্মোক ফ্লেয়ার ছুড়েছিলেন স্বাগতিক দর্শকেরা। ম্যাচের পর যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ই দলই গ ল কর ১০ জন

এছাড়াও পড়ুন:

ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 

ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ  ছিল ২৫ দশ‌মিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। 

গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। 

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। 

ঢাকা/নাজমুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপার ফোরে একাধিক বাড়তি ‘সুবিধা’ পাবে ভারত
  • হাত না মেলানো, বর্জনের হুমকি আর ম্যাচ রেফারির ক্ষমাপ্রার্থনা—এরপর সামনে কী
  • সে দিন ৪ মিনিট আগে খবর পেয়েছিলেন পাইক্রফট, এরপর দুবাইয়ে যা ঘটেছিল
  • ২৫ বছর পর সেই বেনফিকাতে ফিরলেন মরিনিও
  • নবীর ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল আফগানিস্তান
  • সত্যি কি ‘মণিহার’ বন্ধ হচ্ছে
  • চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘পরিবারতন্ত্র’ পুনর্বহালের অভিযোগ
  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার