পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাবনাবাদ নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের দায়ে ছয় জেলেকে ৫০০ টাকা করে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চলাকালে তাদের জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক। এসময় কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা ও পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

বালিখলা বাজারে মাছের সংকট, বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে

মা ইলিশ রক্ষায় বরিশালে অভিযান শুরু

জরিমানা করা জেলেরা হলেন- মহারাজ খান (৩২), সামসুল হক (৬০), কামরুল আকন (২১), রাসেল চৌকিদার (২৫), জাকির হাওলাদার (৪৫) ও সোহাগ হাওলাদার (২৫)।

অপু সাহা বলেন, ‍“রাতে অভিযান চলাকালে বড়শি দিয়ে মাছ শিকাররত অবস্থায় রাবনাবাদ নদীর লালুলা, বালিয়াতলী ও ধলাস্বর পয়েন্ট থেকে ছয় জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদের অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে নদী ও সাগরে মৎস্য বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ

এছাড়াও পড়ুন:

হাতিয়া পৌরসভা আ.লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর হাতিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম ছাইফ উদ্দিনকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে দিকে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে হাতিয়া আদালত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ রাজনীতির পাশাপাশি ছাইফ উদ্দিন স্থানীয় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি তিনটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন। 

সোমবার দুপুরের দিকে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যৌথ বাহিনীর সদস্যরা হাতিয়া আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। পরবর্তীতে একই দিন বিকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। তাৎক্ষণিক তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবি করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপজেলা সদরের ওছখালীতে বিক্ষোভ করে। এসময় যৌথ বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। 

একই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে। 

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিনটি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। মঙ্গলবার বিকালে তাকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।”

ঢাকা/সুজন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ