বাকৃবিতে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা-বিষয়ক কর্মশালা
Published: 11th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জলবায়ু সহনশীলতা-বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই ও উন্নত কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি ব্যবস্থার গতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা জোরদারকরণ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষিতত্ত্ব বিভাগ।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় ‘হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য
জাতিসংঘের ইয়াং উইমেন ফেলোশিপ পেলেন বাকৃবির মারজানা
কর্মশালাটি হায়ার এডুকেশন একসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (এইচইএটি) প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ট্রান্সফরমেশন ফান্ডের (এটিএফ) সহায়তায় আয়োজিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বাংলাদেশ।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণাগার ও মডেল ফার্ম স্থাপন, পাঠ্যক্রম হালনাগাদ, জলবায়ু সহনশীল স্নাতকোত্তর গবেষণা জোরদার করা, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং চায়না অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ও চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড.
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক ও এ টি এফ সচিবালয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মো মোশাররফ উদ্দীন ভূঁঞা।
কর্মশালায় বাকৃবি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম বলেন, “মর্ডান ফার্মিং সিস্টেম আসলে একজন কৃষকের পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ তৈরির ধারণা। এখানে শুধু ফসল নয়, সাথে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মাছ সবকিছুর সমন্বয় থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত মডেল ডেভেলপ করা হয়েছে। এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ফার্মিং সিস্টেম-বিষয়ক বিশেষায়িত মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা প্রয়োজন, যাতে প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা সরাসরি কৃষকদের সেবা দিতে পারে।”
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা নানা সামাজিক আন্দোলন ও পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, পাশাপাশি তারা পেশা হিসেবে কৃষিকেও বেছে নিচ্ছে। এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত। বিশ্বজুড়ে কৃষির ধরন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। নতুন নতুন ফসল, প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভাবিত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদেরও সহনশীল বা ভবিষ্যতমুখী কৃষি ব্যবস্থার (ফিউচার ফার্মিং) দিকগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেন বাংলাদেশের কৃষি কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়ে। টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য বিশ্ব প্রেক্ষাপটের গতিশীল পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র সহনশ ল জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে জলবায়ু সহনশীল কৃষি ব্যবস্থা-বিষয়ক কর্মশালা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জলবায়ু সহনশীলতা-বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই ও উন্নত কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি ব্যবস্থার গতিশীলতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা জোরদারকরণ’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে কৃষিতত্ত্ব বিভাগ।
আরো পড়ুন:
মালয়েশিয়ায় ‘হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাকৃবির সাবেক উপাচার্য
জাতিসংঘের ইয়াং উইমেন ফেলোশিপ পেলেন বাকৃবির মারজানা
কর্মশালাটি হায়ার এডুকেশন একসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (এইচইএটি) প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ট্রান্সফরমেশন ফান্ডের (এটিএফ) সহায়তায় আয়োজিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বাংলাদেশ।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণাগার ও মডেল ফার্ম স্থাপন, পাঠ্যক্রম হালনাগাদ, জলবায়ু সহনশীল স্নাতকোত্তর গবেষণা জোরদার করা, প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং চায়না অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস ও চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ খায়রুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. দিয়াঁ সানু।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক ও এ টি এফ সচিবালয়ের প্রধান অধ্যাপক ড. মো মোশাররফ উদ্দীন ভূঁঞা।
কর্মশালায় বাকৃবি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম বলেন, “মর্ডান ফার্মিং সিস্টেম আসলে একজন কৃষকের পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ তৈরির ধারণা। এখানে শুধু ফসল নয়, সাথে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মাছ সবকিছুর সমন্বয় থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একটি বাস্তবসম্মত মডেল ডেভেলপ করা হয়েছে। এটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য ফার্মিং সিস্টেম-বিষয়ক বিশেষায়িত মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করা প্রয়োজন, যাতে প্রশিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটরা সরাসরি কৃষকদের সেবা দিতে পারে।”
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা নানা সামাজিক আন্দোলন ও পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, পাশাপাশি তারা পেশা হিসেবে কৃষিকেও বেছে নিচ্ছে। এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত। বিশ্বজুড়ে কৃষির ধরন দ্রুত বদলে যাচ্ছে। নতুন নতুন ফসল, প্রযুক্তি ও জাত উদ্ভাবিত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদেরও সহনশীল বা ভবিষ্যতমুখী কৃষি ব্যবস্থার (ফিউচার ফার্মিং) দিকগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেন বাংলাদেশের কৃষি কোনোভাবেই পিছিয়ে না পড়ে। টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য বিশ্ব প্রেক্ষাপটের গতিশীল পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী