ভুল করে বিকাশে আসা ৪২ হাজার টাকা ফেরত দিলেন শিক্ষার্থী মনির
Published: 11th, October 2025 GMT
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান মনির (৩০) সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ভুলবশত তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া ৪১ হাজার ৯৯০ টাকা ফেরত দিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে কাপাসিয়ার কামারগাঁও নামাবাজার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে তিনি সৌদি আরব প্রবাসী মো.
আরো পড়ুন:
জাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বন্ধুর ফোন চুরি করে ইয়াবা সেবনের অভিযোগ
আন্দোলনে যাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মকর্তারা, রাকসু নির্বাচনে বাধা নেই
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী আব্দুর রহিমের স্ত্রী ও ছেলে মো. পারভেজ মিয়া (২৫)।
আসাদুজ্জামান মনির কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বিডিআর সদস্য মরহুম আফসার উদ্দিনের ছেলে এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন নার্সিং কলেজের পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে হঠাৎ তার বিকাশ অ্যাকাউন্টে একটি অচেনা নম্বর থেকে ৪১ হাজার ৯৯০ টাকা আসে। টাকাটি কীভাবে এল বুঝতে না পেরে তিনি বিকাশ এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণ ছন্দাপাড়া এলাকার প্রবাসী আব্দুর রহিম মিয়ার স্ত্রীর নম্বরে পাঠানোর কথা থাকলেও ভুলক্রমে টাকা চলে আসে মনিরের অ্যাকাউন্টে।
এরপর বেশ কয়েকজন ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলেও নিশ্চিত তথ্য না পেয়ে মনির সতর্ক থাকেন। পরবর্তীতে এজেন্টের সহায়তায় প্রকৃত মালিকের সন্ধান মেলে। সব প্রমাণ যাচাই শেষে তিনি পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুরো অর্থ ফেরত দেন।
প্রবাসীর ছেলে পারভেজ মিয়া বলেন, “এ যুগে ভুল করে মোবাইলে ২০ টাকা রিচার্জ গেলে ফেরত পাওয়া দুষ্কর। অথচ একজন শিক্ষার্থী প্রায় ৪২ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে সততার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”
নিজের অবস্থান সম্পর্কে মনির বলেন, “সততার কাছে টাকা মূল্যহীন। প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেতে কিছুটা কষ্ট হলেও এটা ছিল আমার দায়িত্ব। টাকার মালিক আমি নই, তাই লাখ টাকা হলেও ফেরত দিতাম।”
তার এই কর্মকাণ্ডে কাপাসিয়া উপজেলা ও নিজ এলাকায় যেমন প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সততার এই গল্প ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স সতত র
এছাড়াও পড়ুন:
চলে গেলেন মধুমতী
বলিউড অভিনেত্রী মধুমতী মারা গেছেন। গতকাল মৃত্যু হয় ৮৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর। ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন মধুমতী। গতকাল ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মধুমতীর আসল নাম ছিল হুটোক্সি রিপোর্টার। ধর্মেন্দ্র থেকে দিলীপ কুমার ও জিতেন্দ্রর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি নৃত্যশৈলের জন্যও সুনাম ছিল মধুমতীর। বলিউড অভিনেত্রী হেলেনের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই তুলনা করা হতো। ‘আঁখে’, ‘টাওয়ার হাউজ়’, ‘শিকারি’, ‘মুঝে জিনে দো’র মতো ছবিতে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি।
বলিউডের বিন্দু দারা সিং, অক্ষয় কুমার, চাঙ্কি পান্ডে, জসবিন্দ্র নরুলা শোক প্রকাশ করেছেন। মধুমতী বলিউডে অভিনয় ও নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর ছাত্রছাত্রীরাও।
গতকাল বিকেলেই বুওশিওয়ারা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অভিনেত্রীর। বিন্দু দারা সিং মধুমতীর মৃত্যুতে লিখেছেন, ‘শিক্ষিকা ও পথপ্রদর্শক মধুমতীজির আত্মার শান্তি কামনা করি। সবার ভালোবাসা ও আশীর্বাদ নিয়ে তিনি এক সুন্দর জীবনযাপন করেছেন। আমরা অনেকেই তাঁর থেকে নাচ শিখেছি।’
মধুমতীর জন্ম ১৯৩৮ সালে। ১৯৫৭ সালে এক মারাঠি ছবিতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ছোটবেলা থেকে নাচের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল তাঁর। ভরতনাট্যম, কত্থক, কথাকলি ও মণিপুরির মতো নৃত্যের প্রশিক্ষণ ছিল তাঁর। পাশাপাশি বলিউডের ছবিতেও নাচের দক্ষতা ছিল।
আরও পড়ুনক্যানসারে মারা গেছেন ‘মহাভারত’ অভিনেতা১১ ঘণ্টা আগেনৃত্যশিল্পী দীপক মনোহরকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন মধুমতীর বয়স মাত্র ১৯। দীপক বয়সে অনেকটা বড় ছিলেন এবং চার সন্তানের বাবা ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয় অল্প বয়সে। তারপর মধুমতীর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর।