দাউদকান্দিতে মৎস্য চাষ প্রকল্পের কার্যালয়ে ডাকাত দলের হামলা, ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ
Published: 15th, October 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গৌরীপুর প্লাবনভূমির মৎস্য চাষ প্রকল্পের কার্যালয়ে ডাকাত দল হানা দিয়েছে। এ সময় এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হন। আমিরাবাদ বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন এলাকায় গত সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আমির হোসেনকে (৪৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি গৌরীপুর ইউনিয়নের মাইথারকান্দি গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ডাকাত দল হামলা চালিয়ে ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
গৌরীপুর প্লাবন ভূমির মৎস্য চাষ প্রকল্পের ইজারাদার নুরু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, সোমবার রাতে মৎস্য প্রকল্পে মাছ ধরার কার্যক্রম চলছিল। মৎস্য প্রকল্পের কার্যালয়ে আসা ২০ জনের বেশি পাইকার নগদ টাকায় মাছ কিনে নিয়ে যান। বকেয়া টাকাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার দেনদেন হয়। কিছু টাকা রাতেই পাওনাদারদের দেওয়া হয়। দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ৮ থেকে ১০ জন মুখোশ পরে অস্ত্র নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে মৎস্য চাষ প্রকল্পের কার্যালয়ে হামলা চালায়। কার্যালয়ে ৩০ জনের বেশি মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক ছিলেন। তাঁদের মারধর করে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। বাধা দিলে আমির হোসেনকে গুলি করে ডাকাত দল।
আহত আমির হোসেনকে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক নয়ন দে প্রথম আলোকে বলেন, আহত আমির হোসেনের বাঁ ঊরুসহ একাধিক স্থানে গুলি লেগেছে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ আমির হোসেনের ভাই বাদশা মিয়া জানান, ডাকাত দল শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়ে। মৎস্য চাষ প্রকল্পের কার্যালয়ে আমির হোসেনের বাঁ ঊরুতে একাধিক গুলি লাগে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দাউদকান্দি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে তদন্ত করা হচ্ছে। মৎস্য প্রকল্প নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বের জের আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাকাতি ও গুলিবিদ্ধের ঘটনায় থানায় এখনো অভিযোগ দায়ের করেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম র হ স ন দ উদক ন দ ড ক ত দল ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা, লাশ ডিপ ফ্রিজে
স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে নজরুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে তাসলিমার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন নজরুল। তিনি আরও সন্দেহ করছিলেন, তাঁর সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে পারেন তাসলিমা। এই দুই সন্দেহ থেকে নজরুল তাঁর স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখেন। রাজধানীর কলাবাগানে তাসলিমা হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী নজরুলকে গ্রেপ্তারের পর আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যগুলো জানায় পুলিশ।