বন্ধুকে হারিয়ে হৃদয়ে রক্তক্ষণ...
Published: 11th, January 2025 GMT
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে সাধারণ মানুষের মতো ঘরবাড়ি হারিয়েছেন অনেক তারকাও। দাবানল যখন নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তারকারা ঘরবাড়ি ছেলে চলে যেতে বাধ্য হন। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে আরও অনেক ঘটনা। লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী জেনিফার গার্নার।
 মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এমএসএনবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেত্রী। বন্ধুর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। জেনিফার গার্নার বলেন, ‘আমি এক বন্ধুকে হারিয়েছি, ও সময়মতো বাড়ি থেকে বের হতে পারেনি।’
২৫ বছর ধরে প্যাসিফিক প্যালিসেইডসের বাসিন্দা গার্নার। তবে এবারের অবস্থার সঙ্গে কিছুই মেলাতে পারছেন না তিনি। গার্নার বলেন, ‘বন্ধুদের জন্য আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। আমারই অন্তত ১০০ বন্ধুর বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।’
এদিকে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সঙ্গে যুক্ত আছেন গার্নার।
বন্ধুর মৃত্যুর কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। ভিডিও থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম