কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি ও জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৪০
Published: 12th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার বিকেলে মিটন বুরাপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মকলেসুর রহমান মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে রোববার দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ছয়জনকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াত নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য শনিবার রাতে মুকুলকে হুমকি দেন নাসির। এর প্রতিবাদে রোববার বিকেল ৩টার দিকে বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সভা করে জামায়াত। এ সময় নাসিরের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা লাঠিসোটা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
তবে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, ‘জামায়াত নেতাকর্মীর সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ঝামেলা যাতে আর না বাড়ে সেটা দেখা হচ্ছে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’