বুয়েটে ‘দূষিত’ পানিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা
Published: 12th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসের পানি পান করে অধিকাংশ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী হল ছেড়ে বাসায় থাকছেন। যাঁরা হলে থাকছেন তাঁরা হলের পানি পান করা থেকে বিরত থাকছেন।
রোববার বুয়েটের একাধিক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে এমন তথ্য জানান। তাঁরা জানিয়েছেন, এ কারণে তাঁদের একাডেমিক কার্যক্রমও চলছে না। ক্যাম্পাসের কোনো একটা পাইপের দূষণের কারণে এমনটি ঘটেছে।
এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই সপ্তাহ আগে এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমরা হলগুলো পরিদর্শন করেছি, শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিয়েছি, পানির ট্যাংকগুলো পরিষ্কার করেছি। এখন আক্রান্তের হার অনেক কমেছে।’
একাডেমিক কার্যক্রমের বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে পরীক্ষা যেন কয়েক দিন পরে নেওয়া হয়। সার্বিক বিষয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর শুধু ভেবেই নিজের নাম লিখলেন নিউরালিংক ব্যবহারকারী
২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। অবশেষে কলম বা কি–বোর্ড নয়, শুধু চিন্তা দিয়েই নাম লিখেছেন তিনি। নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করলাম। এখনো অনুশীলন চলছে।’
অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করে নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন, ‘তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ জানেনই না, এখন এমন কিছু সম্ভব।’ এ মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে প্রযুক্তি মহলে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘আপনি এটা সত্যিই ভেবে লিখেছেন?’ কেউ কেউ লেখেন, ‘এটাই এ বছরের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা।’
অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অড্রির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার হারানো সক্ষমতা ফিরিয়ে এনেছে।
নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংক ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে।
সূত্র: টেকক্লুসিভ