শেরপুরে পোস্ট অফিস থেকে জাল টাকা সরবরাহ, গ্রেপ্তার ২
Published: 20th, October 2025 GMT
শেরপুর জেলা পোস্ট অফিস থেকে একাধিক গ্রাহককে জাল টাকা সরবরাহের অভিযোগে দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) তাদের দুইজনকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে এবং অপরজনের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘জাল টাকার খবরের’ পর সতর্ক থাকতে চার পরামর্শ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
নতুন টাকা বিনিময় শুরু, আসল-নকল চিনবেন যেভাবে
গ্রেপ্তার আসামি হলেন, শেরপুর পোস্ট অফিসের ক্যাশিয়ার মানিক মিয়া ও পোস্ট অফিসের ট্রেজারার হাফিজুর রহমান। এর মধ্যে মানিককে গত ১৬ অক্টোবর ও হাফিজুর রহমানকে ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর শেরপুর সদর উপজেলার গনইমমিনাকান্দা গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নিরক্ষর বৃদ্ধা শাহিনা বেগম উত্তরা ব্যাংকে ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা জমা দিতে যান। উত্তরা ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা গুণে নেওয়ার সময় দেখতে পায় ওই টাকার মধ্যে ৫৩টি ১ হাজার টাকার নোট জাল।
অপরদিকে, গত ৯ অক্টোবর দুপুরের পর শেরপুর সোনালী ব্যাংকে নুহূ নামে এক ব্যক্তি সরকারি চালানের ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা জমা দিতে যান। সোনালী ব্যাংকের ক্যাশিয়ার টাকা নেওয়ার সময় ২৫টি ১ হাজার টাকার নোট জাল পান।
ভুক্তভোগী দুই গ্রাহকই শেরপুর পোস্ট অফিস থেকে টাকাগুলো উত্তোলন করেছিলেন। তারপর থেকে বিষয়টি প্রশাসন, পোস্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ নজরে আসে। এর ব্যাপারে সরকারের অন্তত তিনটি বিভাগ তদন্ত করছে।
শেরপুর কোর্ট পরিদর্শক মো.
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জোবাইদুল আলম বলেন, “ঘটনাটি জানার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো কয়েকজন সন্দেহের তালিকায় আছেন। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”
ঢাকা/তারিকুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ ফ জ র রহম ন প স ট অফ স
এছাড়াও পড়ুন:
ঠাকুরগাঁওয়ে সার সংকট নিরসনে এনসিপির স্মারকলিপি
দেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম কৃষি উৎপাদনকারী ঠাকুরগাঁও জেলায় সার সংকট, সিন্ডিকেট দূরীকরণ ও কৃষকের মাঝে সারের ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণে বিশেষ বরাদ্দসহ সাত দফা দাবিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হক সুমনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা।
আরো পড়ুন:
মেহেরপুরে ২ কোটি টাকার সারের মালিক নিয়ে ধুম্রজাল
সারের দাম বাড়বে না: কৃষি উপদেষ্টা
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঠাকুরগাঁও জেলার মোট আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৩ হেক্টর। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকের চাহিদার মাত্র এক-চতুর্থাংশ থেকে দুই-চতুর্থাংশ সার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ফলে কৃষক অতিরিক্ত দামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
তারা আরো উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে জেলায় টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তাদের ৭ দফা দাবিগুলো হলো, ১. বাৎসরিক চাহিদার আলোকে নির্দিষ্ট মৌসুমে পর্যাপ্ত সার বরাদ্দ ও তার সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা। ২. সার সরবরাহ ব্যবস্থায় কঠোর তদারকি জোরদার করা। ৩. নির্ধারিত দামে সার বিক্রয় নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি অফিসের তৎপরতা বৃদ্ধি করা। ৪. সার আমদানি, পরিবহন ও গুদামজাতকরণে সিন্ডিকেট ও কালোবাজারি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। ৫. চলতি অর্থবছরের কৃষি বাজেট অনুযায়ী দ্রুত বাস্তবায়ন শুরু করা। ৬. কৃষকের ক্ষতি পূরণে সহায়তা প্রদান ও দীর্ঘমেয়াদি সার নীতি প্রণয়ন করা। ৭. সার ব্যবস্থাপনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় আরো সুদৃঢ় করা।
এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও ঠাকুরগাঁও–৩ আসনের দলের প্রার্থী গোলাম মর্তুজা সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, সার সরবরাহে সিন্ডিকেট যেন বন্ধ হয়, কৃষক যেন নির্ধারিত দামে পর্যাপ্ত সার পায়। ঠাকুরগাঁও কৃষিনির্ভর জেলা, তাই সার সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
এ সময় এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হিমেল/বকুল