‘রিফিউজিগো দ্যাশ-জাত বইলে কিছু আছে নাকি! আমরা তো মন্দিরের ঘণ্টার মতো। যে বাজায়, খালি বাইজে যাই।’ শনিবার রাত ৮টায় প্রকাশ পাওয়া নতুন ওয়েব সিরিজ ফেউ–এর টিজারে ছিল এই একটি সংলাপ। কোনো চরিত্র প্রকাশ করা হয়নি। তবে উচ্চারিত সংলাপ থেকে ধারণা পাওয়া যায়, শরণার্থীদের নিয়ে কোনো গল্প বলতে চাইছেন নির্মাতা। চরকির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। টিজারের ক্যাপশনে লেখা, ‘কী ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে? কী লুকানো হয়েছে আমাদের কাছ থেকে? চরকিতে শিগগিরই আসছে সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ “ফেউ”।’
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগনা জেলার দ্বীপ মরিচঝাঁপি। দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারত পাড়ি দিয়েছিল। নানা ঘাত–প্রতিঘাত পেরিয়ে নিম্নবর্ণের (নমঃশূদ্র) হিন্দুধর্মাবলম্বীদের একটা অংশ এসে এই মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেয়। সরকারি আশ্বাসেই সেখানে আবাস গড়ে তোলেন তাঁরা।
‘ফেউ’–এর দৃশ্য। চরকির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজধানীর শাহজাহানপুরে মিনিবাসচাপায় নারী নিহত, চালক আটক
রাজধানীর শাহজাহানপুরে মিনিবাসের চাপায় এক পথচারী নারী নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শাহজাহানপুর কবরস্থানের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। চালককেও আটক করা হয়েছে।
নিহত ওই নারীর পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। পরনে ছিল প্রিন্টের শাড়ি।
স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামিয়া হাসপাতালে নেন। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
উদ্ধারকারী আদনান অনিক বলেন, আমান গ্রাফিকস অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেডের একটি স্টাফ বাস হেমায়েতপুর থেকে বৌদ্ধমন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। শাহজাহানপুর কবরস্থানের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওই নারীকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে তিনি ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পান এবং বাসের নিচে চাপা পড়েন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।