দাবানলে জ্বলে পুড়ে ছারখার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বিলাসবহুল শহর লস অ্যাঞ্জেলেস। আর সেই দাবানলের কারণে অগণিত মানুষের মতো আতঙ্কে আছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা। কারণ বিয়ের পর থেকে মার্কিন মুল্লুকের লস অ্যাঞ্জেলেসেই বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী। 

কয়েক কছর ধরে স্বামী জেনে গুডএনাফ ও দুই সন্তান নিয়ে সেখানকার এক বাংলোয় সুখের ঘরকন্না করে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিধ্বংসী দাবানল এবার ছারখার করে দিল সেই স্বপ্নের নিবাস। ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রীতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখন সুরক্ষিত। 

সেই খবর জানানোর পাশাপাশি অভিনেত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। লিখেছেন, ‘এ রকম একটা দিন দেখার জন্য বেঁচে থাকতে হবে জীবনেও ভাবিনি। দাবানলের গ্রাসে আমাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, পরিজনরা গৃহহারা ও সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আকাশ ধোঁয়াচ্ছন্ন, সর্বত্র ছাই। তুষারপাতের মতো আকাশ-বাতাসে ছাই ভেসে  বেড়াচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য সমস্যা আরও বাড়বে। চারপাশের এ ধ্বংসলীলা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা যে এখনও সুরক্ষিত।’ 

এই পোস্টের পর প্রীতির সংযোজন, “এই অগ্নিকাণ্ডে বাস্তুচ্যুত এবং সর্বস্ব হারানো মানুষদের জন্য প্রার্থনা করছি প্রতিটা মুহূর্তে। আশা করি, শিগগিরই হাওয়ার দাপট কমে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। দমকল বিভাগ, অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং যারা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন, তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই নিরাপদে থাকুন।’

প্রসঙ্গত, দাবানলের গ্রাস থেকে মুক্তি পাইনি প্যারিস হিলটন, জেমি লি কার্টিস, অ্যান্থনি হপকিনস, ম্যান্ডি মুরেদের মতো হলিউড তারকাদের বাড়িঘর। আগুনের লেলিহান শিখায় জ্বলতে থাকা বাড়িঘরের ছবি শেয়ার করে একাধিক হলিউড তারকা সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিতর্কিত তিন নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ

বিতর্কিত তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (১৬ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে আলোচনা শেষে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল

ইউনূস-তারেক বৈঠক
রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন হতে পারে: যৌথ বিবৃতি

বৈঠকে কমিশন সদস্যগণ জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। 

কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেন, ‍“বেশকিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। খুব শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করে ফেলা সম্ভব হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আমি আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।”

বৈঠকে লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তারা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তারা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেছে, মতামত দিয়েছে। যেখানেই গেছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?’ আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।”

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “সব রাজনৈতিক একমত হয়েছে যে, অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।”

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ