মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দিনে-দুপুরে এজেন্ট ব্যাংকের এক কর্মচারীকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে অপহরণ ও মারধর করে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ইছাপুরা-ভবানীপুর সড়কের কাঁঠালতলী গ্রামের ফারুকের পোল্ট্রি ফার্মের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অপহরণ ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীরপুর ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট শাখার কর্মচারী আফজাল শেখ। তিনি ভবানীরপুর পশ্চিপাড়া গ্রামের মৃত জসিমউদ্দিন শেখের ছেলে। 

আফজাল শেখ সাংবাদিকদের জানান, ভবানীপুর এজেন্ট শাখার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী ব্যাংক নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭ ০ হাজার টাকা নিয়ে নিমতলা বাসে করে ইছাপুরা আসেন তিনি। পরে ইছাপুরা থেকে ভবানীপুর এজেন্ট শাখায় যাওয়ার উদ্দেশে ব্যাটারি চালিত অটো রিকসায় ওঠেন। অটো রিকসাটি কাঠালতলী গ্রামে ফারুকের পোল্টি ফার্মের সামনে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তার রিকসার গতিরোধ করে। 

৪-৫ লোক হ্যান্ডকাফ পরিয়ে অস্ত্রের মুখে তাকে গাড়িতে তোলে। তার চোখের চশমা ভেঙে চোখ বেঁধে ফেলে ওই দুর্বৃত্তরা। চোখ বাঁধা এবং হ্যান্ডকাফ লাগানোর বিষয়টি আফজাল দুর্বৃত্তের কাছে জানতে চাইলে, তাকে মারধর করে এবং বলে তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে এজন্য তাকে কোর্টে চালান দিবে। পরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭ ০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ের একটি নির্জন স্থানে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

এ ব্যাপারে সিরাজদিখানের ইসলামী ব্যাংক ভবানীপুর আউটলেট শাখার এজেন্ট কামাল শেখ বলেন, “আফজাল প্রায় সময় এভাবে টাকা আনা-নেওয়ার কাজ করতো। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। যারা আফজালকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের পরনে ডিবির জ্যাকেট ছিল। যেখান থেকে আফজালকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও আফজালকে তুলে নেওয়ার ভিডিও আমরা দেখেছি।”

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল ) আ ন ম ইমরান খান মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল এবং যার কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে তাঁর সঙ্গে কথা বলে তদন্ত কাজ শুরু করেছি। যতদূর শুনেছি, আফজাল খানকে মাইক্রোস করে উঠিয়ে নিয়ে মারধর করে এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা আবদুল্লাপুরের মাঝামাঝি এলাকায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত, গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের গায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির পোশাক ছিল কিনা এটা আফজাল খান বলতে পারছেন না। এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি।”

ঢাকা/রতন/এস

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার, আটক ৩
  • র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ: চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
  • কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচার চেয়ে ফেরার পথে হামলার অভিযোগ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির নিন্দা
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার