কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ট্রাকচাপায় রাবেয়া আক্তার (২২) নামে এক এনজিওকর্মী শিক্ষিকা নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার লম্বাশিয়া ১-ইস্ট ও ১-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝামাঝি ফলিয়াপাড়া রাস্তার মাথায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রাবেয়া আক্তার উখিয়া জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাশিয়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি বেসরকারি সংস্থায় শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করতেন। 

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো.

সিরাজ আমিন জানান, রাবেয়া মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশবাহী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরো জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে গেছেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাকচালককে ট্রাকসহ আটক করেছেন।

ঢাকা/তারেকুর/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ