Samakal:
2025-05-01@14:05:09 GMT

টিকটক নিয়ে কী ভাবছেন ইলন মাস্ক!

Published: 15th, January 2025 GMT

টিকটক নিয়ে কী ভাবছেন ইলন মাস্ক!

মার্কিন মুলুকে তোপের মুখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া টিকটক। কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। এমন আবহে আলোচনার তুঙ্গে এখন প্রযুক্তি ধনকুব ইলন মাস্ক।

জানা গেছে, প্ল্যাটফর্মের চীনা মালিক এবারে এক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্কের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবসা বিক্রির কথা ভাবছে। কিছুদিন আগে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে এমন আভাস পাওয়া যায়।

খবরে প্রকাশ, যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়া থেকে বাঁচতে ইলন মাস্কের সহায়তা চাইতে পারে টিকটক কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে, ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্ম টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে ব্যবসার উদ্যোগ নিতে পারে। যদিও ঠিক কীভাবে এমন উদ্যোগ কাজ করবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি সংস্থা দুটির কর্তৃপক্ষ।

টিকটকের প্রধান সংস্থা বাইটডান্স মূলত চীনা মালিকানাধীন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। টিকটকের নিয়ন্ত্রণ বাইটডান্স থেকে সরে যাক– এমনটা মূল সংস্থার কর্মীরা চাইছেন না। অনেকে আবার বিদ্রোহ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে টিকটককে ব্যান করার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আদালতে কয়েকটি মামলায় জড়িয়েছে নির্মাতা সংস্থা।
অবশ্য এসব কোনো বিষয়েই সদুত্তর থেকে বিরত থেকেছে টিকটক। মার্কিন মুলুকে টিকটকের ব্যবসা ইলন মাস্ককে বিক্রি করে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে কোনো সরাসরি বিবৃতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় টিকটকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একেবারে নিশ্চিত না হয়ে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে আনবে না। অবশ্য ইলন মাস্ক নিজেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু জানাননি।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন টিকটকের ১ কোটি ৭০ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক আছে। প্ল্যাটফর্মটি বিজ্ঞাপনদাতাদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে এক্স-এর প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইলন মাস্ক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি ‘এক্সআই’ নামে আলাদা উদ্যোগ নিয়েছেন, যা টিকটক থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ডেটা থেকে লাভবান হতে পারে।
সুতরাং টিকটক নিয়ে ইলন মাস্ক কী ভাবছেন, তা জানতে আপাতত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

করিডর দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান

করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের কাছ থেকে আসতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহান মে দিবসে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ‘করিডর’ নিয়ে কথা বলেন তারেক রহমান। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণ মনে করে, করিডর দেওয়া না–দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের কাছ থেকে। সিদ্ধান্ত আসতে হবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এই সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে লিপ্ত মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার নাকি নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিন্তু জনগণকে জানায়নি। এমনকি জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও কোনো আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করেনি।

দেশের জনগণকে না জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না কিংবা নেওয়া উচিত কি না, এই মুহূর্তে সেই বিতর্ক তুলতে চান না উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট—বিদেশিদের স্বার্থ নয়, অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।

ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর এ বছর রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় থাকায় অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। তবে তিনি বলেন, রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চাল ও তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চাল–তেলের দাম বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বাড়েনি। তাহলে জনগণ এখন তাদের এমন ভোগান্তির কথা কার কাছে, কোথায় কীভাবে বলবে?

নয়াপল্টনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে সমাবেশে নেতা-কর্মীদের একাংশ। ঢাকা, ১ মে

সম্পর্কিত নিবন্ধ