Samakal:
2025-11-03@23:52:44 GMT

টিকটক নিয়ে কী ভাবছেন ইলন মাস্ক!

Published: 15th, January 2025 GMT

টিকটক নিয়ে কী ভাবছেন ইলন মাস্ক!

মার্কিন মুলুকে তোপের মুখে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া টিকটক। কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে প্ল্যাটফর্মটি চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে। এমন আবহে আলোচনার তুঙ্গে এখন প্রযুক্তি ধনকুব ইলন মাস্ক।

জানা গেছে, প্ল্যাটফর্মের চীনা মালিক এবারে এক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্কের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবসা বিক্রির কথা ভাবছে। কিছুদিন আগে ব্লুমবার্গের রিপোর্টে এমন আভাস পাওয়া যায়।

খবরে প্রকাশ, যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়া থেকে বাঁচতে ইলন মাস্কের সহায়তা চাইতে পারে টিকটক কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে, ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্ম টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে ব্যবসার উদ্যোগ নিতে পারে। যদিও ঠিক কীভাবে এমন উদ্যোগ কাজ করবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি সংস্থা দুটির কর্তৃপক্ষ।

টিকটকের প্রধান সংস্থা বাইটডান্স মূলত চীনা মালিকানাধীন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। টিকটকের নিয়ন্ত্রণ বাইটডান্স থেকে সরে যাক– এমনটা মূল সংস্থার কর্মীরা চাইছেন না। অনেকে আবার বিদ্রোহ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতোমধ্যে টিকটককে ব্যান করার বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ আদালতে কয়েকটি মামলায় জড়িয়েছে নির্মাতা সংস্থা।
অবশ্য এসব কোনো বিষয়েই সদুত্তর থেকে বিরত থেকেছে টিকটক। মার্কিন মুলুকে টিকটকের ব্যবসা ইলন মাস্ককে বিক্রি করে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে কোনো সরাসরি বিবৃতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতিক্রিয়ায় টিকটকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, একেবারে নিশ্চিত না হয়ে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে আনবে না। অবশ্য ইলন মাস্ক নিজেও এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু জানাননি।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন টিকটকের ১ কোটি ৭০ লাখ নিবন্ধিত গ্রাহক আছে। প্ল্যাটফর্মটি বিজ্ঞাপনদাতাদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে এক্স-এর প্রচেষ্টাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইলন মাস্ক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি ‘এক্সআই’ নামে আলাদা উদ্যোগ নিয়েছেন, যা টিকটক থেকে পাওয়া বিপুল পরিমাণ ডেটা থেকে লাভবান হতে পারে।
সুতরাং টিকটক নিয়ে ইলন মাস্ক কী ভাবছেন, তা জানতে আপাতত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক প ল য টফর ম

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ