তাসকিনদের আজই নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাজশাহীর
Published: 16th, January 2025 GMT
বিপিএলের দল দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পেয়ে বুধবার অনুশীলন বর্জন করেছিলেন। বৃহস্পতিবার তারা ৫০ শতাংশ অর্থ প্রাপ্তির আশ্বাসে পুনরায় অনুশীলনে নেমেছে।
দুর্বার রাজশাহীর অপারেশন ইন চার্জ জায়েদ আহমেদ জানিয়েছেন, শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় আজই স্থানীয় ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক নগদ অর্থে পরিশোধ করা হবে।
বিবৃতি জায়েদ বলেছেন, ‘১৬ জানুয়ারির মধ্যে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন এটা নিয়ে কোন সংশয় নেই। আমরা পারিশ্রমিক দিতে দেরি করেছি, এটা অস্বীকার করছি না। আমরা সকল ক্রিকেটারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, কারণ এমনটা হওয়া উচিত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কালকের মধ্যে (বৃহস্পতিবার) ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে দেব। শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকায় ২৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ২৫ শতাংশ চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবো।’ জানা গেছে, রাজশাহী বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক শোধ করেছে।
বিসিবির পরিচালক মানজুর আলমও জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে আজকের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদ অনলাইনে দুর্বার রাজশাহীর ম্যানেজমেন্ট ও কয়েক জন ক্রিকেটারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিপিএল শুরুর আগে পারিশ্রমিক নিয়ে নিয়ম বেধে দিয়েছিল বিসিবি। সেখানে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার ও স্টাফদের ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক টুর্নামেন্ট চলাকালীন দেওয়ার কথা ছিল। বাকি ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক টুর্নামেন্ট শেষে দেওয়ার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি ওই নিয়ম মানেনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’