বাংলাদেশ নারী ফুটবলের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র ঋতুপর্ণা চাকমা। সদ্য সমাপ্ত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব অর্জন করেছেন তিনি। নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে তার গোল ছিল শুধু জয়ের নয়, আত্মবিশ্বাসেরও প্রতীক। গোল করার পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে তার সাংকেতিক বার্তা ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি করেছে।
ঋতুপর্ণার সেই বার্তার অর্থ কী? অনেকে মনে করেন, এটি তার সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশকারী নিন্দুকদের উদ্দেশে ছিল। মাঠে নিজের দক্ষতায় তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনার জবাব আসে পারফরম্যান্স দিয়েই।
তবে এই বার্তা শুধু মাঠেই থেমে থাকেনি। গত সোমবার ঋতুপর্ণা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেছেন, যা নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ছবিতে তাকে দেখা যায় ইয়ামাহা ব্র্যান্ডের একটি মোটরসাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে একই ভঙ্গিতে পোজ দিতে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হয়তো ইয়ামাহার একটি ফটোশুটের অংশ।
অনেকে মনে করছেন, এই ছবি দিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি একই বার্তা দিয়েছেন। কেননা, যে সেরা তার প্রতিক্রিয়া সবসময়ই হয় ক্লাসিক এবং সময়োপযোগী। সেরারা সময়মতো নিজের সামর্থ্যের জানান দেয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?