কুষ্টিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে অস্ত্র-গুলিসহ আটক ২
Published: 17th, January 2025 GMT
কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় ভেড়ামারা-প্রাগপুর রোডের হাওয়াখালি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- দৌলতপুরের বাহিরমাদী এলাকার গোলাম নবীর ছেলে রজব সরকার ও একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে দুর্জয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাবনার কাশীনাথপুর এলাকার ছাগলের ব্যাপারি জহুরুল ও ঈশ্বরদীর শেখ পাড়ার মিন্টু দৌলতপুর থেকে ভেড়ামারায় আসছিলেন। ভেড়ামারার হাওয়াখালি এলাকায় রজব সরকার ও দুর্জয় তাদের পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে। অবৈধ মাল আছে দাবি করে তারা এসময় ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করে।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এসে দুজনকে বেঁধে রাখে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রজব সরকারের থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও দুর্জয়ের থেকে একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করে। পরে তাদের আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী জহুরুল বলেন, “হাওয়াখালি এলাকায় আমাদেরকে দুজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে থামতে বলে। এরপর আমাদের পকেট চেক করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা চিৎকার দিলে, স্থানীয়রা এসে তাদের বেঁধে রাখে। আমরা পালিয়ে আসি।”
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, “বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন। সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল
সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”
কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে।
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ