কুষ্টিয়ার ভেড়ামাড়ায় পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইকালে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় ভেড়ামারা-প্রাগপুর রোডের হাওয়াখালি থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন- দৌলতপুরের বাহিরমাদী এলাকার গোলাম নবীর ছেলে রজব সরকার ও একই এলাকার ফজলুল হকের ছেলে দুর্জয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাবনার কাশীনাথপুর এলাকার ছাগলের ব্যাপারি জহুরুল ও ঈশ্বরদীর শেখ পাড়ার মিন্টু দৌলতপুর থেকে ভেড়ামারায় আসছিলেন। ভেড়ামারার হাওয়াখালি এলাকায় রজব সরকার ও দুর্জয় তাদের পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে। অবৈধ মাল আছে দাবি করে তারা এসময় ব্যবসায়ীদেরকে মারধর করে।

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এসে দুজনকে বেঁধে রাখে। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রজব সরকারের থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও দুর্জয়ের থেকে একটি বিদেশি চাকু উদ্ধার করে। পরে তাদের আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী জহুরুল বলেন, “হাওয়াখালি এলাকায় আমাদেরকে দুজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে থামতে বলে। এরপর আমাদের পকেট চেক করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা চিৎকার দিলে, স্থানীয়রা এসে তাদের বেঁধে রাখে। আমরা পালিয়ে আসি।”

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, “বিদেশি অস্ত্র-গুলিসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২