নরসিংদীতে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১, তাঁতীদল নেতা আহত
Published: 17th, January 2025 GMT
নরসিংদীতে ডিস ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আধিপত্যের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনজু মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এসময় বখতিয়ার নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মাধবদী থানার শেখেরচর-বাবুরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মনজু মিয়া মাধবদী থানার পৌলাণপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। আহত বখতিয়ার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ও যুবদল নেতা ইফতেখার আলমের ছোট ভাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ডিস, ইন্টারনেট ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন ও একই ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি ইফতেখার আলম বাবলা গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে তিনদিন আগে ইফতেখারের ছোট ভাই জ্যোতিকে মারধর করে আকরাম ও তার সহযোগীরা। এই জেরে বৃহস্পতিবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইফতেখার গ্রুপের ডিস ব্যবসার কর্মী মনজুরের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন তাঁতীদল নেতা বখতিয়ার।
নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপার মো.
ঢাকা/হৃদয়/টিপু
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।