পাঁচ দিনের এক নবজাতককে বরিশালের দপদপিয়া সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনটি ঘটে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত নবজাতকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা তার স্ত্রী ও পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে, শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্নতার কারণ দেখিয়ে নবজাতকের মা ঐশি আক্তারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার স্বজনরা। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি। খবর পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে ওই নারী ও তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

নবজাতকের মা ঐশি আক্তারের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে। তিনি একই উপজেলার হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ঐশি আক্তারের স্বামীর নাম সোহেল আহমেদ। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

আরো পড়ুন:

গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব

নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ

নবজাতকের বাবা সোহেল আহমেদ বলেন, “গত ১০ জানুয়ারি ভোরে শেবাচিম হাসপাতালে আমার স্ত্রী একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। এর দুইদিন পর স্ত্রী-সন্তানকে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় স্ত্রীর বড় বোনের বাসায় রেখে যাই। সেখান থেকে গত বুধবার দুপুরে সন্তানকে নিয়ে বের হন আমার স্ত্রী। পরে তিনি অটোরিকশাযোগে দপদপিয়া সেতুতে গিয়ে সন্তানকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেন। ঘটনার পর থেকে সন্তানের হদিস মিলছে না। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

নবজাতকের মামা মো.

মাসুদ জানান, তার বোন শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্নতায় ভুগছেন। এ জন্য তাকে গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতক শিশুটি কোথায় আছে এ প্রশ্নের জবাবে তার বোন কিছুই বলতে পারছে না।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, “আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। ওই নবজাতকের মা অসুস্থ থাকায় তার কাছ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছুই জানা যাচ্ছে না।”

ঢাকা/অলোক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ