নবজাতককে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ
Published: 17th, January 2025 GMT
পাঁচ দিনের এক নবজাতককে বরিশালের দপদপিয়া সেতুর ওপর থেকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঘটনটি ঘটে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত নবজাতকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা তার স্ত্রী ও পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, শারীরিক অসুস্থতা ও বিষণ্নতার কারণ দেখিয়ে নবজাতকের মা ঐশি আক্তারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তার স্বজনরা। বর্তমানে সেখানেই আছেন তিনি। খবর পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালে ওই নারী ও তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
নবজাতকের মা ঐশি আক্তারের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মগড় ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামে। তিনি একই উপজেলার হয়বৎপুর তৌকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ঐশি আক্তারের স্বামীর নাম সোহেল আহমেদ। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
আরো পড়ুন:
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
নারায়ণগঞ্জের হাসপাতালে নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ
নবজাতকের বাবা সোহেল আহমেদ বলেন, “গত ১০ জানুয়ারি ভোরে শেবাচিম হাসপাতালে আমার স্ত্রী একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। এর দুইদিন পর স্ত্রী-সন্তানকে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় স্ত্রীর বড় বোনের বাসায় রেখে যাই। সেখান থেকে গত বুধবার দুপুরে সন্তানকে নিয়ে বের হন আমার স্ত্রী। পরে তিনি অটোরিকশাযোগে দপদপিয়া সেতুতে গিয়ে সন্তানকে কীর্তনখোলা নদীতে ফেলে দেন। ঘটনার পর থেকে সন্তানের হদিস মিলছে না। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
নবজাতকের মামা মো.
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, “আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। ওই নবজাতকের মা অসুস্থ থাকায় তার কাছ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছুই জানা যাচ্ছে না।”
ঢাকা/অলোক/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি