শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে: ঢাবি উপাচার্য
Published: 18th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আমরা অনেক মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছি। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। এখন ভালো-মন্দ যা-ই ঘটুক, যত সীমাবদ্ধতাই থাকুক, পরস্পর হাত ধরাধরি করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় পুনর্মিলনী ও বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, “এ ধরনের পুনর্মিলনী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরবি ভাষার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।” এ সময় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য তিনি অ্যালামনাইদের ধন্যবাদ জানান।
আরবি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড.
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম এবং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। করেন।
অনুষ্ঠানে অ্যালামনাইদের উদ্যোগে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ২১জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।