নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক এ দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনও সাধারণ মানুষের মধ্যে উস্কানিমূলক কর্মকান্ড চালানোর চেষ্টা করছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জ শহরকে মাদক ও চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের বলবো আপনারা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে ব্যাপক ভাবে কাজ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের গৌরবের সঙ্গে আমার গৌরব। শুধু উন্নয়ন নয়, মাথা উচু করে যেনো দাড়াতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

শনিবার ( ১৮ জানুয়ারী )  বিকেলে জালকুড়ি পশ্চিম পাড়া খেলার মাঠে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ যা চায়, যা তাদের প্রত্যাশা, তা পূরণ করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। স্বৈরাচার যে ধ্বংসস্তুপ রেখে গেছে, আমরা সেই অবস্থা থেকে দেশকে গড়ে তুলবো, উন্নয়ন করবো এবং মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করবো।

নিজ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে গিয়াসউদ্দিন বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্খা ব্যাহত হয় এমন কোনো কাজে যেন আমরা লিপ্ত না হই। আমরা যেন জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হই এবং ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে পারি। আমরা জনগণের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবো এদেশে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন অব্যাহত আছে, আগামী দিনেও করে যাবো যতদিন পর্যন্ত ভোটের অধিকার আমরা আদায় করতে না পারি।

৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড.

মোঃ মাসুদুজ্জামান মন্টুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ মহিউদ্দিন সিকদার এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ মাজেদুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়া,  সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ - সভাপতি এস এম আসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ রওশন আলী,  মোঃ সেলিম মাহমুদ, মহানগর যুবদলের সাবেক আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তুু, জেলা তরুণ দলের সভাপতি মুহাম্মদ টি এইচ তোফা সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স

এছাড়াও পড়ুন:

কোনো দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হলে জোট হতে পারে: সারজিস আলম

আগামীর বাংলাদেশ এবং জনগণের স্বার্থ সামনে রেখে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়, তাহলে নির্বাচনী জোট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরের একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এনসিপির কমিটি গঠন উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার আহ্বায়ক এবং সদস্যসচিবের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সারজিস আলম বলেন, ‘যদি তারা (রাজনৈতিক দল) জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একমত থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একমত থাকে, যদি তারা বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টবিরোধী তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রাখতে পারে—এ বিষয়গুলোতে যদি আমরা ঐকমত্য হতে পারি, তাহলে জনগণের স্বার্থে অ্যালায়েন্স (নির্বাচনী জোট) হতে পারে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলমান, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

আগামী নির্বাচনে এনসিপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নিজেদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি থাকে, তাহলে ৩০০ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী দিতে পারবেন। কমিটি গঠনের বিষয়ে কাজ চলছে।

আগামী সংসদ নির্বাচনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা) অংশগ্রহণ করার কোনো অধিকার নেই উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং তাদের যারা দোসর জাতীয় পার্টি, তাদেরও আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনো অধিকার নেই। এই জাতীয় পার্টির কত বড় সাহস, এই জিএম কাদেররা এবং এঁদের যারা সাঙ্গপাঙ্গ আছে, এরা যে খুনিদের দোসর এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওই খুনিদের মদদদাতা, তার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়। তারা যখন বলে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না! তাদের জন্মদাতা যে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ যে তাদের পেলেপুষে বড় করেছে, এর প্রমাণ তারা আবার নতুন করে দিচ্ছে। তাদের জাত চেনাচ্ছে। এই খুনিদের আগামীর বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অধিকার নেই।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন আমাদের শাপলা প্রতীক দিতে গিয়ে তারা তাদের জায়গা থেকে একটি লম্বা সময় স্বেচ্ছাচারিতা করেছে এবং কোনো আইনগত বাধা না থাকা সত্ত্বেও আমাদেরকে শাপলা না দিয়ে শাপলা কলি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে আমাদের জায়গা থেকে আহ্বান করব, তারা যদি ওই একই ধরনের আচরণ আগামী দিনে করে, তাহলে তাদের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হবে। আমরা চাই, তারা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে তাদের প্রতিষ্ঠানের স্বাধীন যে সাংবিধানিক অবস্থা, তা যেন বজায় রাখে। তারা যেন পূর্বের মতো কোনো দলীয় নির্বাচন কমিশনে পরিণত না হয়। যদি কারও ভেতর এমন চিন্তা বা চেষ্টা থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি তাদের পূর্বসূরিদের মতো হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জনগণের সহজে ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে হবে: সিনিয়র সচিব
  • কোনো দলের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হলে জোট হতে পারে: সারজিস আলম
  • অবিলম্বে গণভোটের দাবি চাকসুর
  • ক্ষমতার লোভে কেউ কেউ ধর্মকে ব্যবহার করছে: আব্দুস সালাম
  • উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
  • ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি
  • বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবকে নিয়ে বাবুলের গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট
  • ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম