ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ
Published: 18th, January 2025 GMT
পঞ্চগড়ের কিসমত রেলস্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে লাল কাপড় টানিয়ে রেললাইন অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল শনিবার সকালে প্রায় দুই ঘণ্টা রেললাইনে দাঁড়িয়ে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় সান্তাহারগামী দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন। অবরোধ তুলে নিলে গন্তব্যের উদ্দেশে পঞ্চগড় স্টেশন ছেড়ে যায় আন্তঃনগর ট্রেনটি।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, বোদা ও আটোয়ারী উপজেলার মানুষের জন্য ঢাকাসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সুবিধাজনক কিসমত স্টেশন। এই স্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে বিরতি ছিল। আজ রোববার থেকে ট্রেনটির যাত্রা বিরতি প্রত্যাহার করা হয়। এ জন্য স্থানীয়রা ক্ষোভে লাল কাপড় টানিয়ে রেললাইন অবরোধ করেন। এতে অংশ নেন শতাধিক মানুষ।
স্থানীয় আব্দুল করিম বলেন, কিসমত স্টেশনটিতে ঢাকা ও রাজশাহীসহ বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী যাওয়া-আসা করেন। তাই দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রা বিরতি প্রত্যাহার নয়, যেন নিয়মিত চালু রাখা হয়, সে দাবিতে অবরোধ করা হয়েছে। অবরোধের খবর শুনে ইউএনও ও পুলিশ এসে কথা বলেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলবেন এমন আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
কিসমত রেলস্টেশন মাস্টার বজলুর রহমান জানান, এই স্টেশনে এক্সপ্রেস ট্রেনটির দুই মিনিট বিরতি ছিল। এটি সরকার প্রত্যাহার করায় স্থানীয়রা যাত্রা বিরতির দাবিতে রেলস্টেশন অবরোধ করেন।
আটোয়ারী ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, শনিবার সকালে কিসমত রেলস্টেশনে অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে দিতে বলা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক সমত
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন অভিনেতা সমু চৌধুরী
অভিনেতা সমু চৌধুরী পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার পর পুলিশ তাঁকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাজারের গাছতলায় গামছাপরিহিত সমু চৌধুরীর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নানা জল্পনা শুরু হয়।
গফরগাঁওয়ের পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, অভিনেতা সমু চৌধুরীকে রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে খালাতো ভাই অপু চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ সময় অভিনয়শিল্পী সংঘের লোকজনও ছিলেন। তিনি বলেন, সমু চৌধুরী এর আগে মাজারটিতে কয়েকবার এলেও কেউ তাঁকে চিনতে পারেননি। এবারও মাজারে একাকী সময় কাটাতে এসেছিলেন তিনি।
এর আগে গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে করে গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নে অবস্থিত মুখী শাহ্ মিসকিনের মাজারে আসেন সমু চৌধুরী। পরদিন গতকাল দুপুরে মাজারের গাবগাছের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। মাজারের পাশের বাসিন্দা আল মামুন হৃদয় ফেসবুকে তাঁর গাছতলায় শুয়ে থাকার ছবি পোস্ট করেন। দ্রুত সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা সমু চৌধুরীকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে দাবি করেন। সমু চৌধুরীকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিকেল গাড়িয়ে সন্ধ্যা হলে পুলিশের অনুরোধেও থানায় যাননি সমু চৌধুরী। সন্ধ্যার পর লোকজন আরও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় পুলিশের পাশাপাশি মাজার প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনী অবস্থান নেয়। এ সময় সমু চৌধুরী জানান, তিনি সুস্থ আছেন। সারা রাত মাজারে ধ্যানে ছিলেন।
আরও পড়ুনঅভিনেতা সমু চৌধুরীকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ, কী হয়েছিল তাঁর২১ ঘণ্টা আগেগতকাল রাত ৯টার দিকে সমু চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন গফরগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সমু চৌধুরী সুস্থ আছেন কি না, তা জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন সেখানে উপস্থিত হন।
ইউএনও এন এম আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এক ঘণ্টার বেশি সময় অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং তাঁকে সুস্থ পাওয়া যায়। তাঁর বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়, পুরো ঘটনা তাঁর জবানিতে শোনা হয়। অভিনেতা মাজারভক্ত মানুষ। এ মাজারে আগেও এসেছিলেন। তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেও গতকাল তাঁর ভাষায় গুরুবার ও গুরুত্বপূর্ণ রাত হওয়ায় তিনি মাজারেই অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির কারণে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।’
সমু চৌধুরীর বয়স ৬২ বছর। তিনি ১৯৯০ সালে একটি নাটকের মাধ্যমে অভিনয়জীবনে প্রবেশ করেন। এ ছাড়া উদীচীর সঙ্গে ছিলেন ১২ বছর। ব্যক্তিজীবনে তিনি অবিবাহিত। তাঁর বাড়ি যশোর। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শুধু মা জীবিত আছেন। সমু চৌধুরী যশোরে থাকেন বলেও জানান ইউএনও।
আরও পড়ুনমাজার থেকে সরতে চাইছেন না সমু চৌধুরী১৮ ঘণ্টা আগে