Risingbd:
2025-08-01@20:48:09 GMT

পিনিকের খাঁচায় বন্দি বুবলী!

Published: 19th, January 2025 GMT

পিনিকের খাঁচায় বন্দি বুবলী!

চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর পরবর্তী সিনেমা ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এই সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে রয়েছেন আদর আজাদ। সব ঠিক থাকলে আগামী ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি। মুক্তিকে সামনে রেখে সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা। এর মাধ্যমে মুক্তির তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় প্রযোজনা সংস্থা।

গত বছরের নভেম্বরে কক্সবাজারে শুটিং শুরু হয় সিনেমাটির। শুটিংয়ের মাঝপথে সিনেমার নায়ক আদর আজাদের ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশিত হয়। এবার এলো বুবলীর ফার্স্ট লুক। যেখানে দেখা গেছে, স্কার্ফে আবৃত নায়িকার মাথা। চোখে রোদচশমা। বুবলীর মুখমণ্ডল খাঁচায় বন্দি। তার কাঁধ থেকে নিচের অংশ কালো পোশকে আবৃত।

বুবলী

আরো পড়ুন:

‘চুপ ছিলাম দেখে ভাবিস না জংলি তোদের ভুলে গেছে’

পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে রাজ-বুবলীর সিনেমা

সিনেমাটিতে বুবলীকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। সিনেমাটির অন্যতম প্রযোজক শিমুল খান বলন, “এমন বুবলীকে এর আগে কেউ দেখেননি। একেবারে নতুন, অন্যরকম একজন। পর্দায় তাকে দেখার পর যে কেউ চমকে যাবেন। এমনিতে আমাদের এই সিনেমার একটি চরিত্র ছাড়া সব কটিই নেগেটিভ। প্রতিশোধ ও পাল্টা–প্রতিশোধের গল্প।”

সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন— আলী রাজ, ফজলুর রহমান বাবু, জয়িতা মহলানবীশ, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, সমু চৌধুরী, শরীফ সিরাজ, এ কে আজাদ সেতু, নাজনীন শবনম, নাফিস আহমেদ বিন্দু প্রমুখ।

সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট এবং সহ-প্রযোজনায় রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শিমুল খান।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ