চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর পরবর্তী সিনেমা ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এই সিনেমায় বুবলীর বিপরীতে রয়েছেন আদর আজাদ। সব ঠিক থাকলে আগামী ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি। মুক্তিকে সামনে রেখে সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা। এর মাধ্যমে মুক্তির তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় প্রযোজনা সংস্থা।
গত বছরের নভেম্বরে কক্সবাজারে শুটিং শুরু হয় সিনেমাটির। শুটিংয়ের মাঝপথে সিনেমার নায়ক আদর আজাদের ফার্স্ট লুক পোস্টার প্রকাশিত হয়। এবার এলো বুবলীর ফার্স্ট লুক। যেখানে দেখা গেছে, স্কার্ফে আবৃত নায়িকার মাথা। চোখে রোদচশমা। বুবলীর মুখমণ্ডল খাঁচায় বন্দি। তার কাঁধ থেকে নিচের অংশ কালো পোশকে আবৃত।
বুবলী
আরো পড়ুন:
‘চুপ ছিলাম দেখে ভাবিস না জংলি তোদের ভুলে গেছে’
পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে রাজ-বুবলীর সিনেমা
সিনেমাটিতে বুবলীকে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যাবে। সিনেমাটির অন্যতম প্রযোজক শিমুল খান বলন, “এমন বুবলীকে এর আগে কেউ দেখেননি। একেবারে নতুন, অন্যরকম একজন। পর্দায় তাকে দেখার পর যে কেউ চমকে যাবেন। এমনিতে আমাদের এই সিনেমার একটি চরিত্র ছাড়া সব কটিই নেগেটিভ। প্রতিশোধ ও পাল্টা–প্রতিশোধের গল্প।”
সিনেমাটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন— আলী রাজ, ফজলুর রহমান বাবু, জয়িতা মহলানবীশ, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, মাসুম বাশার, সমু চৌধুরী, শরীফ সিরাজ, এ কে আজাদ সেতু, নাজনীন শবনম, নাফিস আহমেদ বিন্দু প্রমুখ।
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে ইউরো বাংলা এন্টারটেইনমেন্ট এবং সহ-প্রযোজনায় রয়েছেন অভিনয়শিল্পী শিমুল খান।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।