সাভারে বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ শক্তি প্রেরণকেন্দ্র-১ এ টেন্ডার বাক্স ভাঙচুরসহ বক্সে জমা হওয়া দরপত্র লুটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রকৌশলীর কক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ শক্তি প্রেরণকেন্দ্র-১ এর কর্মকর্তা ও সাভার মডেল থানা পুলিশ জানায়, সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ শক্তি প্রেরণকেন্দ্র-১ এ সংরক্ষিত যন্ত্রপাতির অকেজো বা অব্যবহৃত পুরাতন মালামাল নিলামে বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোটেশন জমা দেওয়ার আজ ছিল শেষ দিন। 

সকাল থেকে দরপত্র ক্রয়কারীরা টেন্ডার বাক্সে তাদের দরপত্র জমা দেওয়া শুরু করেন। সকাল ১০টার দিকে ৩০-৪০ জন প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রকৌশলী মো.

মঈনউল হকের কক্ষে প্রবেশ কক্ষে টানানো শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভেঙে ফেলেন। পরে তারা টেন্ডার বাক্স ভেঙে দরপত্র লুট করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দরপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চম্পক, হিরন, আবুল ও রুবেল উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রকৌশলী মো. মঈনউল হক বলেন, “সকাল ১০টার দিকে ৩০-৪০ জন ব্যক্তি কক্ষে এসে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলেন। এরপর টেন্ডার বাক্স নিয়ে সেটি ভেঙে ফেলে শিডিউল নিয়ে যান। আমার জানা মতে বক্সে ৫-৬টি সিডিউল ছিল।” 

সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম বলেন, “বেতার কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে যাদের কাছে স্লিপ (মানি রিসিপট) আছে তাদের শিডিউল জমা দেওয়ার জন্য ভেতরে যেতে দিয়েছি। সকাল সাড়ে ৯টার একটু পর মঈনুল হক কল করে তার অফিসে যেতে বললে অফিসে গিয়ে দেখি টেন্ডার বাক্স ভাঙা, কিছু কাচ ভাঙা। কী হয়েছিলো স্যার (মঈনুল হক) ভালো বলতে পারবেন।” 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, “এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে (জিডি)।’’

ঢাকা/সাব্বির/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দরপত র

এছাড়াও পড়ুন:

এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা

দেশের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গত কয়েক বছর ধরে স্পট মার্কেট থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে পৃথক তিনটি কোটেশনের মাধ্যমে আগামী মে, জুন ও জুলাই মাসের জন্য এই তিন কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার ৬৬৪ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব তিনটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

নতুন বছরের আগ মুহূর্তে কেরোসিন-ডিজেলের দাম কমল

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো (২২-২৩ মে ২০২৫ সময়ে ২০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের জন্য সভায় উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার মে মাসের জন্য ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তব আহ্বান করা হলে ৫টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৫টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এই এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.১৫ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো সমান ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৩৪ কোটি ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৩৬০ টাকা।

সূত্র জানায়, একই প্রক্রিয়ায় জুন মাসের অন্য এক কার্গো এলএনজির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে এবং প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স গানভর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড এই ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহ করবে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১১.২৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৫৪০ কোটি ৫১ লাখ ৬৪ হাজার ১২৮ টাকা।

সভায় জুলাই মাসের জন্য ও এক কার্গো এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। পেট্রোবাংলা কর্তৃক ১ কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ স্বাক্ষরকারী চুক্তিবদ্ধ ২৩টি প্রতিষ্ঠানের  কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হলে ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দাখিলকৃত ৬টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের প্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এমবিটিইউ প্রতি এমবিবিইটএইউ ১১.৩৫৮৮ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে  ৫৪৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৬ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা পাননি, গাবতলী হাটে খাস আদায় করছেন ‘পছন্দের’ ব্যক্তিরা
  • এবার আগেভাগেই বই ছাপার কাজ শুরু হচ্ছে, ২০২৭ সাল থেকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের চিন্তা
  • তিন প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় হবে ৩৯০ কোটি টাকা
  • বেজা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের দুই প্রস্তাব অন
  • অভিযোগের বিষয়ে এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটি’র বক্তব্য 
  • এলএনজি আমদানি: ব্যয় হবে ১৬২০ কোটি ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা
  • ‘নতুন শুরুর আশায়’ মাগুরা টেক্সটাইল মিলসের পুরোনা মেশিন বিক্রি
  • সোনাগাজীতে ইজারা চুক্তি না মেনে চলছে পশুর হাট