রাজশাহীতে ডা. সাদির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
Published: 21st, January 2025 GMT
রাজধানীর ডেল্টা হেলথকেয়ারের চিকিৎসক সাদী বিন শামসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন করেছেন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস।
আরো পড়ুন: রিকশাচালক ইসমাইল হত্যা: চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে
আরো পড়ুন:
রাসিকে দুদকের অভিযান, ধরা পড়ল ঘাপলা
যে কারণে গভীর রাতে মিছিল নিয়ে থানায় ছাত্রীরা
কর্মসূচি থেকে ডা.
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে রামপুরার ডেল্টা হেলথকেয়ারের সামনে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। সেসময় তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডা. সাদি এগিয়ে আসেন। গুলিবিদ্ধ রিকশাচালককে যেন চিকিৎসা না দেওয়া হয় সেজন্য পুলিশ ডা. সাদিকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে। তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। অথচ এখন তাকে আসামি বানিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বক্তারা আরো বলেন, সরকারের উচিত ছিল ডা. সাদিকে বীর সন্তান হিসেবে ভূষিত করা। কিন্তু সেটা না করে উল্টো আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। রাজশাহীর চিকিৎসকসমাজ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডা. সাদিকে মুক্তি না দিলে কমপ্লিট শাটডাউন, লং মার্চ টু ঢাকা কিংবা যেকোনো কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
কর্মসূচিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন প্রতিনিধি ডা. আব্দুল্লাহসহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘হয় মোদের চাকসু দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’, ‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’, ‘চাকসু মোদের অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’—এমন স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
আনাতোলিয়ান রোভার চ্যালেঞ্জে বিশ্বে তৃতীয় ইউআইইউ
জবির প্রভাবশালী আওয়ামীপন্থি ‘ক্যাডার’ শিক্ষকরা যেখানে আছেন
আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রিয়াদ বলেন, “জুলাই মাসে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হওয়ার ঘটনাগুলো আমাদের জানা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীও সে সময় শহীদ হয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সবার আগে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা ছিল, কিন্তু এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। অথচ ডাকসু, রাকসু, জাকসুর তফসিল ঘোষণা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। “যদি তা না হয়, তাহলে আমরা দুর্বার ছাত্রআন্দোলনের দিকে যাব,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, “দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এরইমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আমরা এতদিন রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, এখন আর রোডম্যাপ নয়—তফসিল চাই।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে সক্রিয় ছাত্র সংসদ। তাই আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তফসিল এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন চাই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আগামী ১ আগস্ট সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত হলে নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণা করবেন।”
চাকসু গঠনের ধারণা মূলত এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর আদলে। বাংলাদেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
১৯৭০ সালে চাকসুর প্রথম কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ মে। এই নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।
২০২৫ সালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়ায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুর মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা