চরমোনাই পীরের সাথে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
Published: 21st, January 2025 GMT
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ে চরমোনাই জামিয়া রশীদিয়া আহছানাবাদ মাদরাসা প্রঙ্গণে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন এ দুই নেতা।
সাক্ষাৎকালে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, “আল্লাহ যেনো আমাদের দেশের পক্ষে, ইসলামের পক্ষে, ও মানবতার পক্ষে কাজ করার সুযোগ করে দেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছিল, তাদের দ্বারা আমাদের জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আমরা সবাই মিলে পরামর্শভিত্তিক আমাদের এ দেশটাকে ইসলামের ও মানবতার পক্ষে সুন্দর একটি দেশ গড়ে তুলতে চাই।”
এসময় জামায়াতের আমীর ডা.
তিনি আরও বলেন, “গত ৫ আগস্টে যে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি এর মাধ্যমে ইসলামের পক্ষে একটি ভালো ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে যদি সময় উপযোগী পদক্ষেপ না নিতে পারি তাহলে এটা আমাদের জন্য অকল্যাণকর এবং দুর্ভাগ্যের। এজন্য আমরা সবাই একত্রিত হয়ে দেশ গড়ার ক্ষেত্রে যেন কাজ করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করছি।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চিন্তা হলো আমরা কারও সিড়ি হব না, পরগাছা হব না, আমরা নিজেরাই ইসলামের পক্ষে একটা শক্তি অর্জন করব এবং ইসলামী শক্তি নিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে থাকবে। নির্বাচন নিয়ে আমাদের দাবি উনাদের দাবি একই।”
মতবিনিময় শেষে উভয় দলের শীর্ষ নেতারা চরমোনাই দরবার শরীফের মসজিদে একসাথে জোহরের নামাজ আদায় করেন। পরে এখানে দুপুরের ভোজে অংশ নেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুল ইসলাম।
ঢাকা/পলাশ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’