বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 21st, January 2025 GMT
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কভিড-১৯ মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সোমবার অভিষেকের দিনই সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প বলেন, ডব্লিউএইচও আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে, এতদিন বাকিরাও সেটা করেই এসেছে। কিন্তু এসব আর চলতে দেওয়া হবে না।
তাঁর অভিযোগ, সদস্য রাষ্ট্রদের অন্যায্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ডব্লিউএইচও। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সংস্থাটি অযৌক্তিক ও একপক্ষীভাবে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্থাটির বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে চলমান রয়েছে। যেমন– যক্ষ্মা, এইডস ইত্যাদির মতো ভয়াবহ রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি যাচাই ও প্রতিকারের উপায় বের করা। ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে এসব কর্মসূচির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। রয়টার্স
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’