বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কভিড-১৯ মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সোমবার অভিষেকের দিনই সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। 

নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প বলেন, ডব্লিউএইচও আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে, এতদিন বাকিরাও সেটা করেই এসেছে। কিন্তু এসব আর চলতে দেওয়া হবে না। 

তাঁর অভিযোগ, সদস্য রাষ্ট্রদের অন্যায্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে ডব্লিউএইচও। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সংস্থাটি অযৌক্তিক ও একপক্ষীভাবে অনেক বেশি অর্থ নিয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পায়নি রয়টার্স।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্থাটির বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে চলমান রয়েছে। যেমন–  যক্ষ্মা, এইডস ইত্যাদির মতো ভয়াবহ রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি যাচাই ও প্রতিকারের উপায় বের করা। ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে এসব কর্মসূচির ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। রয়টার্স

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত, নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিশনের কাজ শুরু করার আশ্বাসে তাঁরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শুক্রবারের মধ্যে কমিটি গঠন না হলে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। বুধবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধিদল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা বাইরে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি ওয়াদা ভঙ্গকারী নই। যে কথা আমি রাখতে পারব না, সেই কথা বলব না। বিধিমালার বাইরে আমি কোনো কাজ করব না। আগামীকালের (শুক্রবার) মধ্যে অ্যাডহক কমিটি গঠন ও নির্বাচন কমিটির কাজ শুরু করব। আমি এমন কোনো অ্যাডহক কমিটি করব না, যার জন্য আমাকে আবার ধাক্কা খেতে হয়। এমন অ্যাডহক কমিটি ও নির্বাচন কমিশন গঠন করব, যেন নৈতিকতা ও মেরুদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের আশ্বাসে আমরা আজকে আন্দোলন স্থগিত করছি। কালকের মধ্যে অ্যাডহক কমিটি না হলে আমরা আবার একই স্থানে এসে আন্দোলন করব। আমাদের সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ