বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দুর্নীতি ও ঘুষের পরিমাণ বেড়েছে। চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী হয়ে চলছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেন। এর মধ্য দিয়ে সিপিবি ঘোষিত দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্র অভিযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু হয়; যা আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। 

দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ক্ষমতার দাপটে প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে। এই অবস্থার অবসান ঘটাতে দ্রুত জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা শাহীন রহমান, আবদুল্লাহ ক্বাফি রতন প্রমুখ। পরে দলটির নেতাকর্মীরা পদযাত্রা শুরু করে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত গণসংযোগে অংশ নেন।


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বসতবাড়ি

মিঠাপুকুরে শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বাড়ি ও বাগান নির্মাণ করা হয়েছে। ৩০ বছর আগে তৎকালীন সেক্রেটারি জমশেদ আলীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ওই জায়গা বেদখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নের ধোপাকোল এলাকায় শাহ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেট অবস্থিত। এস্টেটের সাবেক সেক্রেটারি জমশেদ আলী কখনও ওয়াক্ফ প্রশাসনের অনুমোদন নিয়ে আবার কখনও অবৈধভাবে ১৯৯৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাহ্‌ মহিউদ্দিন পীরোত্তর ওয়াক্ফ এস্টেট পরিচালনা করেন। এ সময় তাঁর ছত্রছায়ায় ধোপাকোল গ্রামের গোলাপ মিয়া, মোক্তার হোসেন, মোকছেদ আলী ও আফজাল হোসেন এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে বসতবাড়ি নির্মাণ করেন। 

এস্টেটের বর্তমান সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জমশেদ আলী অবৈধভাবে সেক্রেটারি পদ দখল করে রেখেছিলেন। ওই সময় এস্টেটের ৬৮ শতক জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ ও আমবাগান করেছেন। আমরা জমি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’ 

দখলদার গোলাপ হোসেন বলেন, ‘৩০ বছর আগে গ্রামবাসীর সম্মতি নিয়ে মৌখিকভাবে জমি বদল করে এখানে বাড়ি করেছি। অনেক দিন অফিসে ঘুরেছি, রেজিস্ট্রি করতে পারিনি। চাইলেই তো জায়গা ছেড়ে দেওয়া যায় না।’ একই কথা বলেন অন্য দখলদাররাও। সাবেক সেক্রেটারি জমশেদ আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়; নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করা হয়েছে।’ 

জেলার ওয়াক্ফ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বাড়ি করার এখতিয়ার কারও নেই। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। দখলের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়াক্ফ এস্টেটের জমি দখল করে বসতবাড়ি