রাবিতে ১ হাজার কোরআন বিতরণ দাওয়াহ সার্কেলের
Published: 23rd, January 2025 GMT
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর প্রতিবাদে ১ হাজার কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দাওয়াহ সার্কেল রাবি শাখার উদ্দ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ‘কোরআন অবমাননার ভয়াবহ শাস্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ দাওয়াহ সার্কেল রাবি শাখা। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ করে সংগঠনটি।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালেহ্ হাসান নকীব। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য মোহা.
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, “মুসলমানদের ঈমান ঠিক আছে কিনা তা মুশরিকরা মাঝে মধ্যে পরীক্ষা করে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা তারই অংশ। স্পষ্ট বোঝা যায়, তারা দাঙ্গা সংঘটিত করতে চায়। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা খুবই বুদ্ধিবৃত্তিক জবাব দিয়েছে। কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কোরআন বিতরণ, এটি অসাধারণ একটি উদ্যোগ। কোরআনের আলো ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরুক, আমাদের হলে হলে ছড়িয়ে পড়ুক।”
উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “যারা এ আয়োজন করেছে, তাদের সাধুবাদ জানাই। সবকিছুর মধ্যে আল্লাহর নিজের একটা পরিকল্পনা থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের শিক্ষার্থীদের মর্মাহত করেছে। যারা দীনের শত্রু, তারা জানে কোথায় আঘাত করতে হবে। আমাদের এই আঘাতের জবাব দেওয়া শিখতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধাতে চেয়েছিল একটা সুবিধাবাদী দল। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের ফাঁদে পা দেয়নি। তারা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রআন ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক
গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।
ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন।
লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।
ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।
ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/টিপু