ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ ও আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর প্রতিবাদে ১ হাজার কোরআন শরীফ বিতরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দাওয়াহ সার্কেল রাবি শাখার উদ্দ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার মুক্তমঞ্চে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ‘কোরআন অবমাননার ভয়াবহ শাস্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ দাওয়াহ সার্কেল রাবি শাখা। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরণ করে সংগঠনটি।

অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালেহ্ হাসান নকীব। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য মোহা.

ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) ও উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দিন খান (প্রশাসন)। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন হাফেজ মো. মুনির উদ্দিন আহমেদ।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, “মুসলমানদের ঈমান ঠিক আছে কিনা তা মুশরিকরা মাঝে মধ্যে পরীক্ষা করে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা তারই অংশ। স্পষ্ট বোঝা যায়, তারা দাঙ্গা সংঘটিত করতে চায়। আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা খুবই বুদ্ধিবৃত্তিক জবাব দিয়েছে। কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কোরআন বিতরণ, এটি অসাধারণ একটি উদ্যোগ। কোরআনের আলো ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরুক, আমাদের হলে হলে ছড়িয়ে পড়ুক।”

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “যারা এ আয়োজন করেছে, তাদের সাধুবাদ জানাই। সবকিছুর মধ্যে আল্লাহর নিজের একটা পরিকল্পনা থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে, তা আমাদের শিক্ষার্থীদের মর্মাহত করেছে। যারা দীনের শত্রু, তারা জানে কোথায় আঘাত করতে হবে। আমাদের এই আঘাতের জবাব দেওয়া শিখতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে দাঙ্গা বাঁধাতে চেয়েছিল একটা সুবিধাবাদী দল। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের ফাঁদে পা দেয়নি। তারা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রআন ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ