এক যুগ পর রাবিতে প্রকাশ্যে ছাত্রশিবিরের কর্মসূচি
Published: 23rd, January 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির প্রায় এক যুগ পর প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘ইসলামী ছাত্রশিবির’ ব্যানারে একটি মিছিল দেখা যায়। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার তদন্তের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের ক্যাম্পাসের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবি করে ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত ১২ জানুয়ারি কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের কলিজার স্পন্দন কোরআনে আগুন দিয়েছে। আমরা তাদের বলে দিতে চাই, তোমরা ঘুঘু দেখেছো, ঘুঘুর ফাঁদ দেখনি। কোরআন পোড়ানোর আগুনের স্ফুলিঙ্গে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছুদিন আগে ইরানে কোরআন অবমাননার কারণে এক খ্রিস্টান পোপকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। যারা এই কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের জোহা চত্বরে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে। এজন্য যদি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে আন্দোলনের মাঠে শহীদ হতে হয়, আমরা সেটার জন্যও প্রস্তুত।’
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘কোরআন আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন। কোরআন পুড়িয়ে আমাদের হৃদয়ে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে, সেটার আঘাত মৃত্যু দিয়েও দেওয়া যায় না। যারা চুপিচুপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, তারা আমাদের সামনে প্রকাশ্যে এসে কোরআন পোড়াক। তাহলে শুধু ছাত্রশিবির নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে।’
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বায়তুলমাল সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নওসাজ্জামান, এইচআরডি সম্পাদক সাহিদ ইমরান। সমাবেশে প্রায় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রায় এক যুগ ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের কার্যক্রম চলছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক রআন প
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল