এক ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না
Published: 23rd, January 2025 GMT
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। প্রস্তাবিত নীতিমালার আলোকে এখন থেকে কোনো ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে যিনি চালক তিনি মালিক এই নীতিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
ডিএমপির সদর দপ্তরে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করলেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাস চলাচলকারী সড়কসহ মূল সড়কে যেন এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা না চলে সেজন্য মালিক-শ্রমিক সবাইকে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ঢাকা মহানগরের বাইরের ব্যাটারিচালিত রিকশা মহানগরে প্রবেশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সভায় ডিএমপি কমিশনার পরিবহন সেক্টরে সব শ্রেণির চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোনোরকম চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। পরিবহন মালিক-শ্রমিক কেউ যেন কাউকে কোনো চাঁদা না দেন। কেউ চাঁদা দাবি করলে তা নিকটস্থ থানা বা পুলিশ ফাঁড়িকে জানানোর জন্য সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।
সভায় অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন এবং সেসব সমস্যা সমাধানে পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’