সাদিক আবদুল্লাহর বিতরণ করা টিসিবির ৫৮ হাজার ফ্যামিলি কার্ড বাতিল
Published: 24th, January 2025 GMT
নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য বরাদ্দ টিসিবির ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ডের ৫৮ হাজার ৪২৬টি বাতিল করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন। সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সময় বিতরণ হওয়া ৯০ হাজার কার্ডের মধ্যে থেকে এসব কার্ড বাতিল করা হয়।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে, নিয়ম ভেঙে ও এক পরিবারে একাধিক টিসিবি কার্ড গ্রহণের মতো অভিযোগে এসব কার্ড বাতিল হয়েছে। বাতিল কার্ডগুলো আবার দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিটি করপোরেশনের বাইরে বরিশালের ১০ উপজেলায় এখন এক লাখ ২৯ হাজার ৯২১ জন টিসিবির সেবা গ্রহণ করছেন। ৯১ জন ডিলারের মাধ্যমে তাদের মাঝে তিনটি পণ্য বিতরণ করা হয়- দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল ও পাঁচ কেজি চাল, যার মোট বাজারমূল্য ৯০০ টাকার বেশি। টিসিবির মাধ্যমে ভোক্তারা তা পাচ্ছেন ৪৭০ টাকায়।
এ ব্যাপারে টিসিবি বরিশালের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী শতদল মণ্ডল বলেন, ‘যাচাই-বাছাই শেষে ৫৮ হাজার ৪২৬ কার্ডে অনিয়ম পেয়েছে সিটি করপোরেশন। এক পরিবার থেকে একাধিক কার্ড নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কিছু বাতিল কার্ডে তথ্য অসম্পূর্ণ ছিল, বাকিগুলো নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিসিবির পক্ষ থেকে সিটি করপোরেশনকে ৩১ হাজার ৫৭৪টি স্মার্ট কার্ড ফেরত দিয়েছি। কার্ড বিতরণ শেষে আমরা পণ্য সরবরাহ করব।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।