Samakal:
2025-09-18@09:24:09 GMT

পরিযায়ী পাখি কমেছে

Published: 25th, January 2025 GMT

পরিযায়ী পাখি কমেছে

মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলায় অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে দু’দিনব্যাপী জলচর পাখিশুমারি শেষ হয়েছে। এ বছর হাওরে অতিথি পাখির সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুমারিতে ৩৫ হাজার ২৬৮টি পাখি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে জানান জরিপে অংশগ্রহণকারী পাখি বিশেষজ্ঞরা। শুক্রবার এ কার্যক্রম শেষ হয়।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিনিধি দল প্রতিবছরের মতো এবারও হাকালুকি হাওরে পরিযায়ী জলচর পাখির জরিপ করেছে। ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দু’দিনব্যাপী চলেছে জরিপের কাজ। এ কাজে সহযোগিতা করেছে বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস ও বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর। জরিপে অংশ নেন ওমর শাহাদাত, খালেক মিলা, সুলতান আহমেদ, সাব্বির আহাম্মেদ, উজ্জ্বল দাস, আবু মুসা রাজু, মাহফুজ হিমেল ও খোরশেদ আলম।
পাখি বিশেষজ্ঞরা জানান, এ বছর হাকালুকি হাওরের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৪৫টি বিলে চালানো গণনায় সর্বমোট ৩৫ হাজার ২৬৮টি পাখি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পিংলা বিলে বিশ্বব্যাপী বিপন্ন বেয়ারের ভূতি হাঁস দুটি, নাগুয়া-লরিবাই বিলে বাংলাদেশের বিরল প্রজাতির বৈকাল তিলিহাঁস একটি, প্রায় সংকটাপন্ন ফুলুরি হাঁস তিনটি, মরচে রংয়া ভূতিহাঁস ১ হাজার ৫৮৮টি, উত্তুরে টিটি ৬টি, সংকটাপন্ন কালো মাথা কাস্তেচরা ৩৯৩টি এবং বিশ্বব্যাপী বিপন্ন পাতি ভূতিহাঁস ৯০৯টি উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়াও পিয়ং হাঁস ৫ হাজার ৫৫২টি, উত্তুরে ল্যাঞ্জ্যা হাঁস ৪ হাজার ২৭২টি এবং এশীয় শামুকখোল ৪ হাজার ২২৮টি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত বছরের তুলনায় এবার পাখি সংখ্যা তুলনামূলক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। কেননা প্রায় প্রতিটি জলাশয়ে মৎস্য আহরণ চলছে এবং কিছু কিছু জলাশয় প্রায় পানিশূন্য করে মাছ শিকার করা হচ্ছে। ব্যাপকভাবে কীটনাশকের ব্যবহারও বেড়েছে হাওর এলাকায়।
নাগুয়া বিলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে পাখি শিকার, পিংলা বিলের পাশে বিষটোপ (কার্বোটাফ) দিয়ে পাখি শিকারের নমুনা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। হাতেনাতে ধরে জালও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি পরিত্যক্ত মাছ ধরার ফাঁদ হাওরে ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান, যা অতিথি পাখির জন্য হুমকি।
বার্ড ক্লাব সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে হাকালুকি হাওরে পাখিশুমারি হয়নি। এর আগে ২০২৩ সালের শুমারিতে হাওরে ৫২ প্রজাতির ৩৭ হাজার ৭৭৮টি, ২০২২ সালে ৫১ প্রজাতির ৩৬ হাজার ৫০১টি পাখি দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া ২০২০ সালে ৫৩ প্রজাতির ৪০ হাজার ১২৬টি এবং এর আগের বছর ২০১৯ সালে ৫১ প্রজাতির ৩৭ হাজার ৯৩১টি পাখির দেখা মিলেছিল। সেই তুলনায় চলতি বছরে হাকালুকি হাওরে ৩৫ হাজার ২৬৮টি পাখি পর্যবেক্ষণ করেছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা।
স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা জানান, হাকালুকি হাওরের প্রতিবেশ প্রতিনিয়ত সংকটাপন্ন হচ্ছে। যার ফলে বর্ষার সময় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্যতার প্রধান কারণ হচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে নদীনালা ও বিল খনন না করা। পাহাড়ি পলিতে বিলগুলো ভরাট হয়ে নাব্য হারিয়েছে।
এ ছাড়া ফাঁদ পেতে শিকারিরা অতিথি পাখি শিকার চলছে বিলগুলোতে। এতে হাওরের প্রতিবেশ বিভিন্ন প্রজাতি পাখি ও হাঁসের জন্য সংকটাপন্ন হয়েছে।
ইউএনও মহিউদ্দিন জানান, পরিবেশ বিনষ্টে হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া অংশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম (মৌলভীবাজার কার্যালয়) জানান, বিস্তীর্ণ হাকালুকি হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। পাখি শিকার বন্ধে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের ফ্রি অনলাইন কোর্স : ডেটা সায়েন্স–এআইসহ নানা বিষয়ে শেখার সুযোগ

ঘরে বসেই দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ নিয়ে এসেছে মাইক্রোসফট। এই অনলাইন কোর্সগুলো edX প্ল্যাটফর্মে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের শিক্ষার্থী বা পেশাজীবীরা কোর্সগুলোতে অংশ নিতে পারবেন।

২০২৫ সালের এই প্রোগ্রামে ৬০টির বেশি অনলাইন কোর্স রয়েছে, যা বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ দেবে। দ্রুত পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারে নিজেকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে সাহায্য করবে এসব কোর্স। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা Microsoft AI Skills Fest-এ অংশ নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সম্পর্কিত বিশেষায়িত কোর্সও করতে পারবেন।

মাইক্রোসফটের লক্ষ্য হলো আজকের চাকরির বাজারে চাহিদাসম্পন্ন প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা গড়ে তুলতে সহায়তা করা। এই কোর্সগুলো শিক্ষার্থীরা নিজের সুবিধামতো সময়ে শিখতে পারবেন। এখানে থাকছে ক্লাউড কম্পিউটিং, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং সাইবার সিকিউরিটিসহ নানা বিষয়ে হাতে–কলমে শেখার সুযোগ।

বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শেখার সুযোগ

মাইক্রোসফটের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা এই কোর্সগুলো তৈরি ও পরিচালনা করেন। ফলে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব জীবনের জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যাঁরা প্রযুক্তির জগতে নতুন, তাঁরা বিগিনার লেভেলের কোর্স দিয়ে শুরু করতে পারবেন। আর যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের জন্য রয়েছে ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের কোর্স। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের নতুন অ্যাপ্লিকেশন, ডিজিটাল সেবা এবং উদ্ভাবনী সমাধান ডিজাইন করার দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

কোর্স কাঠামো ও সার্টিফিকেট

মাইক্রোসফটের এই অনলাইন কোর্সগুলো ফ্রি অডিট ট্র্যাকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা খরচে করা যাবে। তবে যাঁরা শিখে একটি অফিশিয়াল ভেরিফায়েড সার্টিফিকেট পেতে চান, তাঁরা নামমাত্র ফি দিয়ে সার্টিফিকেট নিতে পারবেন, যা চাকরি বা ক্যারিয়ারে বাড়তি গুরুত্ব দেবে।

এটি একটি MOOC (Massive Open Online Course) উদ্যোগ, যা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি অনলাইন কোর্স ২০২৫-এর মতো বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।

মাইক্রোসফটের কোর্স এখন করা যায় ঘরে বসেই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনবে চোখের নতুন ড্রপ
  • মাইক্রোসফটের ফ্রি অনলাইন কোর্স : ডেটা সায়েন্স–এআইসহ নানা বিষয়ে শেখার সুযোগ