Samakal:
2025-08-01@01:57:04 GMT

‘এগিয়ে যান সাফল্য আসবেই’

Published: 25th, January 2025 GMT

‘এগিয়ে যান সাফল্য আসবেই’

এলেন ডিজেনারেস। আমেরিকান কমেডিয়ান, টিভি উপস্থাপক, অভিনেত্রী, লেখক ও প্রযোজক। কমেডি শো ও টিভি টকশোর কারণে তুমুল জনপ্রিয়। কিংবদন্তি এই কমেডিয়ানের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণার কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক
 

১৯ বছর বয়সে আমার জীবনে একটি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটে। আমার প্রিয় বান্ধবী গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। তখন একটি অ্যাপার্টমেন্টের বেজমেন্টে থাকতাম আমি। আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। তাপমাত্রা কিংবা বাতাস ছিল না সেখানে। মেঝের ওপর একটি ম্যাট্রেস বিছানো ছিল; অ্যাপার্টমেন্টটি মাছিতে ভনভন করত। সে সময় নিজের আত্মাকেই যেন খুঁজতাম আমি! জানতে চাইতাম, কেন সে হঠাৎ চলে গেল এবং এখানে এত মাছি কেন? আমি এসবের কারণ বুঝতাম না। মনে হতো, যদি স্রষ্টাকে ফোন করতে পারতাম, যদি তাঁর কাছে জিজ্ঞেস করতে পারতাম! আমি লেখা শুরু করলাম। স্রষ্টার সঙ্গে কাল্পনিক কথোপকথন মনভরে লিখতাম। সেটি একপক্ষীয় ছিল। তবু আমি লেখা শেষ করেছিলাম। লেখাগুলোর দিকে তাকাই এবং নিজেকে বলি, আমি জানি কারসনের সঙ্গে টুনাইট শো করব। সে সময় তিনি ‘স্ট্যান্ডআপ টুনাইট শো’র সেরা ছিলেন। নিজেকে আরও বলেছিলাম, আমি এ শোয়ের ইতিহাসে প্রথম নারী হতে যাচ্ছি! সত্যিই তার কয়েক বছর পর নারী হিসেবে প্রথম এই শো উপস্থাপন করে ইতিহাস গড়ি।
সব হারিয়েও এগিয়ে গিয়েছি
মনে পড়ে, স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে এসে সবকিছু হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবু আমি সামনে এগিয়ে গিয়েছি। যে কোনোভাবে শেষ করেছিলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠ। সত্যি বলতে, আমার কোনো লক্ষ্য ছিল না, কী করতে চাই। আমি সবকিছু করেছি। ঝিনুকের খোসা ছাড়িয়েছি। অতিথিসেবা করেছি। মদের দোকানে মদ পরিবেশন করেছি। হোটেলে খাবার পরিবেশন করেছি। ঘরে রং করেছি। মেঝে পরিষ্কার করেছি। আমি কী করব, তা নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা ছিল না। ভাবতাম, কোনো এক কাজে শেষমেশ স্থির হতে পারব। 
বড় হতে হতে পাল্টে যায় সফলতার সংজ্ঞা 
আজ আমার কাছে সফলতার ধারণা ভিন্ন। আপনি যখন বড় হচ্ছেন, দেখবেন সফলতার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। আমার মতে, আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সম্পূর্ণতা নিয়ে জীবন যাপন করা এবং যা আপনি নন, বন্ধুবান্ধবের চাপে পড়ে তেমন কিছু না করা। একজন সৎ ও দয়ালু মানুষ হিসেবে আপনারা নিজের জীবন কাটান, এটিই আমি চাই।  
এগিয়ে যান, সাফল্য আসবেই
নিজের ভালো লাগাকে অনুসরণ করুন, নিজের ওপর সৎ থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত পথ না হারিয়ে ফেলবেন, অন্য কারও পথ অনুসারে চলা যাবে না। কাউকে উপদেশ দেবেন না। কারণ এটি ফিরে আসবে আপনার কাছেই। তখন হয়তো বেকুবের মতো লজ্জিত হবেন! আসলে আমার বারবার নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে। অনেক কষ্টে স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছিলাম। সাফল্য পেতে বারবার নানা দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছিল।  বেড়ে ওঠার জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করেছি। আমার মা নিউকম্ব শহরে কাজ করতেন এবং আমি তাঁর পার্স থেকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু চুরি করতাম! সেই চুরি ভালো কিছু ছিল না। আজ আমি এই পর্যায়ে সে চুরির কারণে আসিনি। পরিশ্রমের কারণে এসেছি এবং সেই সঙ্গে সে চুরি থেকে নিজেকে বদলে নেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। আমি অনমনীয়তার বাইরে কোনো কিছু চিন্তা করতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে আরও সাহসী হয়ে উঠি। বদলে নেওয়ার শক্তি নিজের ভেতরে তৈরি করুন। নিজেকে নিজে এগিয়ে না নিলে কেউই এগিয়ে দেবে না। এগিয়ে যান। সাফল্য আসবেই! u
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ফল য

এছাড়াও পড়ুন:

তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য

শৃঙ্খলা, দায়িত্ববোধ ও দেশসেবার মনোভাব তরুণদের জীবন গড়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে রোভার ইন কাউন্সিলের ২০২৫–২৬ সালের দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, “শৃঙ্খলাযুক্ত জীবন খুবই সন্তুষ্টির একটি ক্ষেত্র। এটি অর্জন কঠিন কিছু নয়, বরং ইচ্ছাশক্তিই এর মূল উপাদান। এখন থেকেই যদি শৃঙ্খলার চর্চা শুরু করা যায়, ভবিষ্যতে সফলতা অর্জন সম্ভব।”

আরো পড়ুন:

শিক্ষার গতিপথ ও উন্নয়ন নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

জবি দ্বিতীয় ক্যাফেটেরিয়া দ্রুত চালুর দাবি

তিনি বলেন, “এবার দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করতে পেরেছে, যা একটি বড় অর্জন। এ সফলতার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পাশাপাশি রোভার স্কাউটদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

নতুন কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. মাহবুব হাওলাদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হন মো. নাজমুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোভার স্কাউট গ্রুপের সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্‌দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হাসান।

পরে রোভারদের নিবেদন ও নেতৃত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তরুণদের শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে: জবি উপাচার্য