থুতনির নিচে মাংসে বেড়ে বা অতিরিক্ত চর্বি চোয়ালের চারপাশে জমে গেলে তাকে ডাবল চিন বলা হয়। বয়স বৃদ্ধি (Aging), বংশগতি, ওজন বৃদ্ধি— এসব কারণে ডাবল চিনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাবল চিন হলে মুখটি বেশ ভারী এবং কিছুটা অদ্ভুত দেখায়। এই সমস্যার কারণে কারও কারও আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে। ডাবল চিনের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন।

ফেসিয়াল এক্সারসাইজ: ডাবল চিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি যে কোনও সময় এবং যে কোনও জায়গায় বসে ফেসিয়াল এক্সারসাইজ করতে পারেন।  জিহ্বাকে লম্বালম্বি ভাঁজ করে ইংরেজি ইউ আকৃতির মতো করে নিন। এরপর ঠোঁটও সংকুচিত করে ফেলুন। তারপর জোরে ঠোঁট ও জিহ্বার সরু ছিদ্র দিয়ে শ্বাস টেনে নিন। শ্বাস টেনে ১০-১৫ সেকেন্ড দম ধরে রেখে ছেড়ে দিতে হবে। এভাবে ১০ বার করুন। ১-৩ মাস এই ব্যায়াম করলে উপকার পেতে পারেন। 

ঠোঁট সম্প্রসারণ করে হাসুন: ঠোঁট যতদূর সম্ভব সম্প্রসারণ করে হাসুন। এতে গলার মাংসপেশিগুলোকে যথাসাধ্য সংকুচিত ধরে রাখুন। তবে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকবে। ৩০-৬০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। যখন করবেন ৫-১০ বার করুন।

আরো পড়ুন:

কফি সমৃদ্ধ প্রসাধনী যাদের জন্য ভালো নয়

নাকের ‘ব্ল্যাকহেডস’ দূর করার উপায়

ডাবল চিনের অংশে ম্যাসাজ:  চোয়ালের চারপাশে ম্যাসাজ করলে অতিরিক্ত চর্বি অনেকাংশে কমাতে পারে। ম্যাসাজের জন্য নারকেল, জলপাই বা বাদাম তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

কোকো বাটার: ডাবল চিনের সমস্যা দূর করতে কোকো বাটার ব্যবহার করতে পারেন। কোকো বাটার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করার জন্য প্রথমে এটি গরম করুন, তারপর এই মাখন দিয়ে চিবুক এবং চোয়ালের চারপাশে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ