খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ছাত্র অর্ণব কুমার সরকারকে (২৬) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নিহতের বাবা নিতীশ কুমার সরকার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘মামলার এজাহারে হত্যার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় আটক তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে অথবা ছেড়ে দেওয়া হবে।’’

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো.

মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘‘প্রাথমিক তথ্য বলছে, এ হত্যাকাণ্ডে প্রথমে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে আসে সন্ত্রাসীরা। এরপর আরো কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলো দেখা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘তিনটি বিষয় লক্ষ্য রেখে আমরা তদন্ত করছি। আশা করছি, শিগগিরই হত্যার কারণ উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’’

এর আগে, গত শুক্রবার রাতে নগরীর তেঁতুলতলা মোড়ে অর্ণবকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন তাকে পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অর্ণব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র ছিলেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিভিন্ন দাবি নিয়ে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম না’গঞ্জ মহানগরের মানববন্ধন

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, নিঃশর্ত বদলী, অবসর ও কল্যাণ ভাতা দ্রুত প্রদান, বৃত্তি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অংগশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও ধমশিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, কওমি সনদে সরকারি চাকুরি এবং শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগর। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি আলতাফ হোসেন গাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমীর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি ও জাতীয় শিক্ষক ফোরাম মহানগরের উপদেষ্টা মুফতি মাসুম বিল্লাহ। 

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জাতীয় ফোরাম নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ সভাপতি আব্দুল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আল মাহাতাব প্রমুখ

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার যে পরিস্থিতি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুসলমান হয়েও হিন্দুদের ধর্ম বিষয় জানতে হবে। মুসলমানদের ধর্মী বিষয় থাকা না থাকার কোনো বিষয় ছিলো না। কিন্তু হিন্দুদের ধর্মীয় বিষয় জানতে হবে এমন একটি বিষয় ছিলো।

বিগত সময় বাংলাদেশে যে কঠিন পরিস্থিতি গেছে এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনের জন্য বর্তমান সরকার কাছে দাবি জানাই শিক্ষাব্যস্থাকে উন্নত করার জন্য বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থা গড়তে হবে।

বক্তারা আরও বলেন , ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীন হবার ৫৪ বছরে যে সকরার কায়েম হয়েছে। প্রত্যেকটি সরকারে ধারা এই দেশের  মানুষের সাথে বৈষম্য শিকার হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকরা হচ্ছে জাতিগড়ার কারিগর। সেই শিক্ষকরা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। কিন্তু কাক্ষিত ফল শিক্ষকরা পায় নাই। 

এই মানববন্ধনে থেকে আমাদের দাবি হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় করণ করা এবং সকারি ভাবে প্রতিষ্ঠান গুলো যেভাবে বদলি হতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তার সাথে আরো দাবি জানাই অবসর ভাতা দ্রুত যাতে পেতে পারে তার দাবি জানাই। বৃত্তি পরীক্ষার আওতায় সকল ধর্মের ব্যবস্থা করতে হবে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ