সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন প্রধানতম কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। 

সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু। 

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ছোট ভাইয়েরা এই সরকারে আছেন। তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সময় ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। তবে তাদের এগিয়ে যাওয়া যেন গণতন্ত্রের পথে, নির্বাচন প্রক্রিয়ার দিকে হয়। তাহলে বাজার স্থিতিশীল হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকসহ ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেওয়া সম্ভব হবে। এ জন্য জাতীয় ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।   

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করবেন। তাঁর এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল থাকবে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচনের কথা বলেছেন। যে সংকট তৈরি হচ্ছে, নির্বাচন না হলে তা থেকে দেশ রক্ষা করা কঠিন হবে। এসব মোকাবিলার জন্য নির্বাচিত সরকার ও নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।   

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজ-উন-নবী ডন। বিকেলে জেলা বিএনপি আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের

গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।

মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।

এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।

মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।

এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ