গত ২৪ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্কাই ফোর্স’ সিনেমা। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার ও বীর পাহাড়িয়া। এটি পরিচালনা করেছেন সন্দীপ কেলওয়ানি।

৪ হাজার পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে ‘স্কাই ফোর্স’। মুক্তির পর দর্শক-সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। মুক্তির প্রথম দিনে বক্স অফিসে ঝড় তুলতে না পারলেও মোটামুটি সাড়া ফেলে এটি। এরপর বক্স অফিসের আয় ওঠানামা করছে। চার দিনে কত টাকা আয় করেছে সিনেমাটি?

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘স্কাই ফোর্স’ সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে শুধু ভারতে আয় করে ১২ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিন ২২ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে ২৮ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে ৬.

২৫ কোটি রুপি (নিট)। যার মোট আয় ৬৮.৫ কোটি রুপি।

গত চার দিনে শুধু ভারতে ‘স্কাই ফোর্স’ মোট আয় করেছে ৭৪.৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করেছে ৬.৫ কোটি রুপি। সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৮১ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি)।

অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘স্কাই ফোর্স’ চলতি বছরের বলিউডের অন্যতম প্রতীক্ষিত সিনেমা। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান বিমান যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এটি। যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন অমর কৌশিক ও দীনেশ বিজন। ১৪০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমায় অক্ষয় ছাড়াও অভিনয় করেছেন নিমরাত কৌর, সারা আলী খান।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সেন্ট মার্টিনে একটি ইলিশ বিক্রি হলো ৪ হাজার ৫০ টাকায়

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মোহাম্মদ আলম নামের এক ট্রলারমালিকের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৩৩০ গ্রাম ওজনের একটি বড় ইলিশ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০ টাকায়।

আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেন্ট মার্টিন ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আজিম।

মো. আজিম জানান, সেন্ট মার্টিন দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সোলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আলমের মালিকানাধীন একটি ছোট ট্রলারে পাঁচজন মাঝিমল্লা আজ ভোরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিমে ‘আটবাইন’ নামের এলাকায় জাল ফেলেন। দুপুর ১২টার দিকে জাল তুললে ওই বড় ইলিশসহ ছয়টি ইলিশ মাছ পাওয়া যায়, যেগুলোর ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম করে।

বেলা দুইটার দিকে ট্রলারটি সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৌঁছালে বড় ইলিশ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন জেটিতে ভিড় করেন মাছটি দেখতে।

ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরতে গিয়ে এত বড় ইলিশ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। প্রথমে প্রতি কেজি ২ হাজার টাকা দর হাঁকানো হলেও পরে স্থানীয় ইউরো বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক জিয়াউল হক প্রতি কেজি ১ হাজার ৭৫০ টাকা দরে মাছটি ৪ হাজার ৫০ টাকায় কিনে নেন।

মোহাম্মদ আলম আরও জানান, অবশিষ্ট ছয়টি ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকা দরে মোট ৫ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে সাতটি মাছ বিক্রি করে তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ২৫০ টাকা।

মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘এক বছর আগেও এক মণ ইলিশ বিক্রি করে এত টাকা পাওয়া যায়নি।’

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সাগরে ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই জেলেরা মাছ ধরতে বের হচ্ছেন। তবে সাগর এখনো কিছুটা উত্তাল থাকায় তাঁরা দ্বীপের আশপাশে মাছ ধরছেন। অনেকে খালি হাতে ফিরলেও মোহাম্মদ আলমের এবার ভাগ্য খুলে গেছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সেন্ট মার্টিনে সাতটি ইলিশ ধরা পড়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরকারনির্ধারিত নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় এখন জেলেদের জালে নানা প্রজাতির মাছ উঠছে। এতে জেলে পরিবারগুলো লাভবান হচ্ছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ