অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল- লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে লেস্টার সিটি ছেড়ে নতুন ঠিকানায় পা রাখলেন তিনি। ধারে এই ইংলিশ ক্লাবে যোগ দিয়েছেন হামজা।  

লেস্টার সিটির হয়ে এই মৌসুমে খুব কমই মাঠে দেখা গেছে তাকে। মাত্র ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন ২৬ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। নিয়মিত খেলার সুযোগের অভাব এবং কোচ নিস্টলরয়ের পরিকল্পনায় না থাকা- দুটো কারণেই হামজা নতুন ক্লাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের সম্মতিতে তাকে ধারে পাঠানো হয় শেফিল্ড ইউনাইটেডে।  

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেড হামজাকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশি ব্লেড’ নামে। লেস্টারের সঙ্গে হামজার চুক্তির মেয়াদ এখনও আড়াই বছর বাকি থাকলেও এই মৌসুম শেষে চুক্তি পাকাপাকিভাবে শেফিল্ডে পরিবর্তিত হতে পারে।  

শেফিল্ডে যোগ দেওয়ার পর হামজা জানান, ‘এই ক্লাবে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আলোচনাগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। আমি ক্লাবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চাই। লিগে ক্লাবের বর্তমান অবস্থান জানি এবং তাদের আরও ভালো কিছু অর্জনে সাহায্য করাই আমার লক্ষ্য।’  

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে অভিষেক হতে পারে হামজা চৌধুরীর।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ