বাংলাদেশ-ভারতের সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন অঞ্জন দত্ত
Published: 28th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ-ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে এর আগে কথা বলেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এবার একই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, পরিচালক অঞ্জন দত্ত। তার মতে, বাংলাদেশ-ভারতের অশান্তিতে ক্ষতি হচ্ছে দুই দেশের হচ্ছে।
সোমবার পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘কলকাতা এবং ঢাকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে বাংলাদেশের সমস্যার দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এই দুই দেশেরই খুব বড় একটা বাজার রয়েছে। এটি দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অঞ্জন দত্তের একটি বড় ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে। অঞ্জন দত্ত বলেন, ‘রাজনীতি মানুষকে ভাগ করে দেয়, কিন্তু শিল্প ঐক্যবদ্ধ করে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি চাই বর্তমান অচলাবস্থার দ্রুত সমাধান হোক। শিল্প এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আমাদের একটা বড় বাজার রয়েছে। সেটা দুই দেশের জন্য খুলে যাওয়া প্রয়োজন। এতে দুই পক্ষেরই উপকার হবে। বাংলাদেশে অনেক সংবেদনশীল মানুষ রয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই দারুণ সিনেমা নির্মাতা, থিয়েটার ব্যক্তিত্ব এবং গায়ক। এত সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে বলি দেওয়া উচিত নয়।’
তিনি মতে, আমি বরাবরই শিল্পক্ষেত্রে রাজনীতির বিরোধী। রাজনীতি মানুষকে ভাগ করে, অথচ শিল্প মানুষকে একত্রিত করে।
অঞ্জন দত্ত অভিনীত ‘এই রাত তোমার আমার’ শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে। এই সিনেমায় তার সহ-অভিনেতা হিসেবে থাকছের অপর্ণা সেন। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই সিনেমায় এক বৃদ্ধ দম্পতির সম্পর্কের গভীরতা তুলে ধরা হয়েছে।
বর্তমান প্রজন্মের পরিচালকরা অভিনয়ের তুলনায় প্রযুক্তিগত দিক নিয়েই বেশি চিন্তিত বলে আক্ষেপ করেন অঞ্জন দত্ত। তিনি বলেন, ‘অ্যাক্টর্স ডিরেক্টরের কনসেপ্টটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। এখনকার পরিচালকরা লেন্স এবং ড্রোন শট নিয়েই বেশি ব্যস্ত। ফলে অভিনেতারা অনেক সময় অসহায় বোধ করেন।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের হাই অ্যালার্ট
পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মকাণ্ড এবং সেখানে পাকিস্তানের আইএসআই ও পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সীমান্তে সংস্থাগুলোকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাকিস্তান তার বাংলাদেশি প্রতিপক্ষদের সাথে সাথে সেখানকার উগ্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির সাথে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করছে। দুই দেশের মধ্যে শত্রুতা শুরু হলে ভারতের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পাকিস্তান সম্ভবত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় এলাকায় সমর্থনকারী এই উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করতে পারে।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের প্রতি বৈরী মনোভাব প্রকাশ করছে ভারত। দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো বাংলাদেশ নিয়ে নিয়মিতভাবে ভুয়া নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করছে। এর পাশাপাশি ভারতে ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নেতারা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে দাঙ্গার পর ভারতীয় সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় সহিংসতায় তিনজন নিহত এবং শত শত আহত হয়।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। গত কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে গুলি বিনিময় হচ্ছে। বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, ভারত আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে আক্রমণ করতে পারে।
ঢাকা/শাহেদ