সিদ্ধিরগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চারজনকে আটকের ঘটনার অন্যতম পলাতক আসামি সাজ্জাদ হোসেন (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ অক্টোবর) গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত সাজ্জাদ ওই এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। তার গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.

মামুন খালাসী জানান, গত ১৩ অক্টোবর রাতে পুলিশের একটি দল এনায়েতনগর এলাকার আইলাপাড়া ব্রিজের ওপর অভিযান চালায়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো ওই অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চারজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সাজ্জাদসহ চক্রের আরও কয়েকজন সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে জেলহাজতে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও পুলিশি তদন্তে পলাতক আসামী হিসেবে সাজ্জাদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

এদিকে, সাজ্জাদের গ্রেপ্তারের খবরে মিজমিজি এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাজ্জাদ ও তার সংঘবদ্ধ চক্রটি এলাকায় নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তারা এই সফল অভিযানের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান এবং এই ডাকাত দলের পলাতক অন্য সদস্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সাজ্জাদের কোনো নির্দিষ্ট বা স্থায়ী পেশা নেই। সে একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে, এই দলটি সিদ্ধিরগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মতো গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর আলম বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ নির্মূলে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ড ক ত র প রস ত ত স দ ধ রগঞ জ থ ন গ র প ত র কর ক আস ম এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

সাইনবোর্ডে ডিবি পরিচয়ে বাস ডাকাতির ৪ আসামি গ্রেপ্তার

ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতির মামলার ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় মুঠোফোনসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

 শনিবার (১৮ অক্টোবর) গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে ডাকাতিটি সংঘটিত হয়। কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী জেএস ট্রাভেলসের একটি বাস ভুঁইঘর পাসপোর্ট অফিসের সামনে পৌঁছলে ৪ ব্যক্তি বাস থামিয়ে নিজেদের ‘ডিবি পুলিশ’ দাবি করেন।

তারা তল্লাশির নামে যাত্রীদের ওপর চড়াও হন এবং তাদের মারধর করেন। পরে নগদ টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। ওই দিনই যাত্রী আফরোজা আক্তার এনি ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দিলে মামলাটি রুজু হয়।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন নির্দেশনায় এসআই মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে গতকাল শনিবার ভোরে ভূঁইঘর এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা হলেন— আরিফুল হক সোহান (৩৪), হৃদয় আহম্মেদ (২৬), সজীব ইসলাম (৩০) এবং আমির হোসেন সরদার (৫০)।

পুলিশ জানায়, আরিফুল, হৃদয় ও সজীব ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাসে উঠে যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে টাকা এবং মালামাল ছিনিয়ে নেন। পরে লুণ্ঠিত ফোনগুলো স্থানীয় মোবাইল ব্যবসায়ী আমির হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন।

পরে আমির ওই চোরাই ফোনের একটি ফোন শিল্পী বেগম নামে এক নারীর কাছে বিক্রি করলে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে একই কৌশলে বিভিন্ন রুটে ছিনতাই ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিল। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাইনবোর্ডে ডিবি পরিচয়ে বাস ডাকাতির ৪ আসামি গ্রেপ্তার
  • মালিবাগে শম্পা জুয়েলার্স থেকে  চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, সোনা উদ্ধার