সাইফকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় এবার এক নারী গ্রেপ্তার
Published: 28th, January 2025 GMT
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় এবার এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। সোমবার নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া নারী মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে বর্তমানে মুম্বাইয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া এই নারীর সঙ্গে সাইফের হামলার ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ফকিরের যোগ রয়েছে। তার সাহায্যেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে পা দেয় শরিফুল।
গত ১৬ জানুয়ারি মধ্য়রাতে নিজের বাড়িতেই সাইফ আলী খানেও ওপর হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি। এলোপাথারি কোপানো হয় নায়ককে। ভয়ঙ্কর কাণ্ডের পর বেশ কয়েক দিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন নায়ক। এখন অনেকটাই সুস্থ। বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতোমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সাইফই বলতে পারতেন। কারণ সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে নায়কই মোকাবিলা করেছিলেন হামলাকারীকে। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুনঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সাইফ। বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ।
এরপর ২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সাইফ তার বয়ানে বলেন, সেই রাতে তখন আমি আর কারিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোওয়ার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পাই ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্কার।
সাইফ জানিয়েছেন, ছেলের চিত্কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারি। গৃহকর্মী আলিয়ামা ফিলিপসও ভয়ে পেয়ে চিত্কার করছিলেন। আর ভয়ঙ্কর কাঁদছিলেন জেহ।
তখনই সেই হামলাকারিকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। তখনই সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েক বার ছুরির আঘাত করেন। তারপরেও সাইফ অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভেতরে ঠেলে দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম রাতেই যেন ফুটবলপ্রেমীরা এক অসাধারণ ম্যাচের সাক্ষী হলো। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তুরিনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জুভেন্টাস ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৪-৪ গোলে ড্র করেছে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ডর্টমুন্ডের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত, ঠিক তখনই জুভেন্টাসের নাটকীয় প্রত্যাবর্তনে সবাই হতবাক হয়ে যায়।
ম্যাচের নায়ক ছিলেন জুভেন্টাসের সেই খেলোয়াড় যাকে ক্লাব এই গ্রীষ্মে বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল, দুসান ভ্লাহোভিচ। ২৫ বছর বয়সী এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড বদলি হিসেবে নেমে যেন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। দুটি গোল করার পাশাপাশি ইংরেজ ডিফেন্ডার লয়েড কেলির গোলে সহায়তাও তিনিই করেছেন। নির্ধারিত সময়ের পরও যখন ডর্টমুন্ড ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল, সেই অবস্থায় শেষ মুহূর্তে এই অবিশ্বাস্য ড্র নিশ্চিত করেন ভ্লাহোভিচ।
আরো পড়ুন:
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
মেসির গোলে, অ্যাসিস্টে মায়ামির জয়
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলতে থাকে। ৫২তম মিনিটে ডর্টমুন্ডের করিম আদেয়েমি বাম পায়ের শটে বক্সের বাইরে থেকে প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপরই জুভেন্টাসের তরুণ তারকা কেনান ইলদিজ ডান দিক থেকে নেওয়া এক শটে বল জালে জড়িয়ে সমতা ফেরান। কিন্তু জুভেন্টাস সমর্থকদের এই আনন্দ খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। কারণ, মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে আদেয়েমি আবার মাঠে ঝলসে ওঠেন এবং তার পাস থেকে ফেলিক্স এনমেচা বক্সের বাইরে থেকে ডর্টমুন্ডের দ্বিতীয় গোলটি করে বসেন।
ম্যাচের এমন টানটান উত্তেজনার মধ্যেই ৬৭তম মিনিটে ইলদিজ দুর্দান্ত একটি পাস বাড়িয়ে দেন ভ্লাহোভিচের দিকে। ভ্লাহোভিচ ডান পায়ের শটে সহজেই গোল করে স্কোর ২-২ করেন। এরপর আবার ডর্টমুন্ড এগিয়ে যায়। ৭৪তম মিনিটে ইয়ান কৌটো এবং ৮৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে বেনসেবাইনি গোল করেন। লয়েড কেলির হ্যান্ডবলের কারণে এই পেনাল্টি পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। যখন মনে হচ্ছিল, ডর্টমুন্ড ৪-২ গোলে জয়ী হতে চলেছে, ঠিক তখনই ভ্লাহোভিচ জুভেন্টাসকে বাঁচিয়ে দিলেন।
ম্যাচের ৯০+৩ মিনিটে ডর্টমুন্ডের জয় যখন প্রায় নিশ্চিত, তখন পিয়ের কালুলুর ক্রস থেকে ভ্লাহোভিচ ৯০+৪ মিনিটে সরাসরি শটে গোল করে ব্যবধান ৪-৩ করেন। এবং নাটকীয়তার শেষ এখানেই নয়! ৯৬তম মিনিটে জুভেন্টাসের কেলি গোল করে বসেন এবং ৪-৪ সমতা ফেরান। শেষ পর্যন্ত এই সমতা নিয়েই শেষ হয় ম্যাচ।
দুই দলের এমন গোল উৎসব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এই নিয়ে সপ্তমবার ঘটল, যেখানে উভয় দলই অন্তত চারটি করে গোল করেছে।
এবারের লিগ-পর্বের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষ আটটি দল সরাসরি শেষ ষোলোতে যাবে এবং পরের ১৬টি দল দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে। সেই প্লে-অফ থেকে আরও আটটি দল শেষ ষোলোতে সুযোগ পাবে।
ঢাকা/আমিনুল