রেল কর্তৃপক্ষের সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে কর্মবিরতি থেকে সরে আসার পর ট্রেন চালানো শুরু করেছেন রানিং স্টাফরা। বুধবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশনটির মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, আজ ভোরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্টেশন থেকেও ট্রেন ছেড়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো গোলযোগের খবর নেই।

ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল থেকে স্টেশনে যাত্রীদের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। আফজাল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় সব যাত্রীরা খুশি। 

এর আগে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বেইলি রোডের বাসায় বৈঠক শেষে রেলের স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত‌্যাহা‌রের ঘোষণা আসে। উপদেষ্টার বাসায় দুই প‌ক্ষের মধ্যস্থতা বৈঠকে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিএন‌পির চেয়ারপারস‌নের বি‌শেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস। 

রেলও‌য়ে রানিং স্টাফ এবং কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মু‌জিবুর রহমান সমকালকে ব‌লে‌ন, কর্মবির‌তি প্রত‌্যাহা‌রের স‌ঙ্গে স‌ঙ্গে কা‌জে ফি‌রে‌ছেন রা‌নিং স্টাফরা। ভোররাত থেকেই ট্রেন চলবে। উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে‌ছেন বুধবার ম‌ধ্যে দা‌বি পূরণ ক‌রে রা‌নিং স্টাফ‌দের ভাতা ও পেনশন সু‌বিধা পুরোনো নিয়ম পুনর্বহালে সরকারি আদেশ জা‌রি হ‌বে।

এর আগে রাত সোয়া ২টার দিকে ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার। শ্রমিক নেতাদের সাথে নিয়ে আমরা রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমস্যার সমাধান করতে রেল উপদেষ্টার সাথে দেখা করেছি। এ বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স রাত ২টা ৩০ মিনিটে।’

পুরোনো নিয়‌মে ভাতা ও পেনশন সু‌বিধা পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন রা‌নিং স্টাফরা। সারাদেশে প্রায় ২৭ ঘণ্টা সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তিন শতাধিক যাত্রীবাহী ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়। দু‌র্ভো‌গে প‌ড়েন লা‌খো মানুষ। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ