‘ক্ষমা চাওয়া ও শীর্ষ নেতৃত্বের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি করতে পারবে না আ. লীগ’
Published: 29th, January 2025 GMT
রাজনীতিতে ফিরতে আওয়ামী লীগতে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য ভালোভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং 'ক্লিন' নেতৃত্ব আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে সরকার কী ভাবছে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনেও এসেছে যে, শেখ হাসিনা নিজেই গুম-খুনের নির্দেশ দিয়েছেন। এত বড় একটা হত্যাকাণ্ড হলো আমাদের চোখের সামনে। কত ছেলে নিহত হলো, কত ছেলে চোখ হারালো, অঙ্গ হারালো। কিন্তু তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা আরও মিথ্যা বলছে। যতদিন না আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইছে, যতদিন না তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিচারের আওতায় আসছে, যতদিন না তারা জবাবদিহির মধ্যে আসছে, ততদিন তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগকে খুব ভালোভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাদের একটা ‘ক্লিন’ নেতৃত্ব আসতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা ক্লিন আছে বা যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত না, তাদেরও তো দেখা যাচ্ছে না যে তারা অনুতপ্ত বা তারাও ক্ষমা চাননি। আওয়ামী লীগের কেউ এসেও তো বলছে না যে তারা হাসিনার নেতৃত্ব মানেন না বা তারা ক্লিন লিডারশিপ চান। কেউ এসে অনুতপ্ত হচ্ছে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান, তবে আক্রমণের জবাব দেবে: পেজেশকিয়ান
ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না ইরান। তবে কোনো আক্রমণের সমানমাত্রায় পাল্টা জবাব দেবে। সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এ কথা বলেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে সিএনএন এ কথা জানিয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান এই যুদ্ধ শুরু করেনি। কিন্তু প্রতিটি আক্রমণের জবাব সমানভাবে দেওয়া হবে। ইসরায়েলের আগ্রাসনে ইরানে বেসামরিক মানুষ, বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, এই আলোচনা এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক উত্তেজনা প্রশমনে এবং পারমাণবিক আলোচনায় ফেরার ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত।
এদিকে ইরান উত্তেজনা নিরসনের বিষয়ে কথা বলতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে ‘সময় থাকতেই’ ইরান ও ইসরায়েলের আলোচনার টেবিলে বসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
চলমান যুদ্ধে ইরান জিতছে না বলেও মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে তিনি এ কথা বলেন। খবর-এএফপি
ইরান উত্তেজনা নিরসনের বিষয়ে কথা বলতে ‘চায়’ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এক্ষেত্রে ‘সময় থাকতেই’ ইরান ও ইসরায়েলের আলোচনার টেবিলে বসা উচিত। অনেক দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই তাদের এখনই কথা বলা উচিত।
ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ইরানকে এখনই আলোচনায় বসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আমি বলব, ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না। তাই দেরি হওয়ার আগেই তাদের কথা বলা উচিত।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তাদের একটি চুক্তি করতেই হবে এবং এটি উভয়পক্ষের জন্যই বেদনাদায়ক। তবে আমি বলবো ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না, তাদের কথা বলা উচিত। খুব দেরি হওয়ার আগেই তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত।
ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ ‘কামনা’ ইরানের: এদিকে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানাতে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ইরান। চার দিন ধরে চলা যুদ্ধ শেষ করার এটি একমাত্র উপায় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ ‘বিজয়ের পথে’ রয়েছে।