রাজনীতিতে ফিরতে আওয়ামী লীগতে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য ভালোভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং 'ক্লিন' নেতৃত্ব আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিষয়ে সরকার কী ভাবছে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনেও এসেছে যে, শেখ হাসিনা নিজেই গুম-খুনের নির্দেশ দিয়েছেন। এত বড় একটা হত্যাকাণ্ড হলো আমাদের চোখের সামনে। কত ছেলে নিহত হলো, কত ছেলে চোখ হারালো, অঙ্গ হারালো। কিন্তু তাদের কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা আরও মিথ্যা বলছে। যতদিন না আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইছে, যতদিন না তাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিচারের আওতায় আসছে, যতদিন না তারা জবাবদিহির মধ্যে আসছে, ততদিন তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেওয়া হবে না। আমাদের স্পষ্ট অবস্থান, তাদের আগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, আওয়ামী লীগকে খুব ভালোভাবে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাদের একটা ‘ক্লিন’ নেতৃত্ব আসতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা ক্লিন আছে বা যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত না, তাদেরও তো দেখা যাচ্ছে না যে তারা অনুতপ্ত বা তারাও ক্ষমা চাননি। আওয়ামী লীগের কেউ এসেও তো বলছে না যে তারা হাসিনার নেতৃত্ব মানেন না বা তারা ক্লিন লিডারশিপ চান। কেউ এসে অনুতপ্ত হচ্ছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ আর আগের মতো নেই: সারজিস

‘প্রতীক ভাড়া দেওয়ার দিন শেষ। জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেয়া এক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে সারজিস লিখেছেন, “প্রতীক ভাড়া দেওয়ার দিন শেষ। জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।”

তিনি আরো লিখেছেন, “মাঠ আর আগের মতো নেই। আগের ইকুয়েশন এবার মিলবে না। সময়মত মিলিয়ে নিয়েন।”

নিবন্ধিত দল জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার।

এর আগে ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে। এরপর জোট মনোনীত প্রার্থীকে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করা নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুললেও জামায়াত ও এনসিপি ২০ ধারার এ সংশোধন বহাল রাখার দাবি জানায়। শেষ পর্যন্ত এই ধারা অপরিবর্তিত রেখেই সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

ঢাকা/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ