বর্ণাঢ্য নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে যশোরে ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণে আকিজ কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, পিঠা উৎসব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বুধবার (২৯ জানুয়ারি)  উদযাপন শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে। প্রতিযোগিতায় বিশেষ আয়োজন ছিল ‘বি ইনোভেট; স্টে কানেকটেড’ প্রতিপাদ্যে বিজ্ঞান মেলা। এর উদ্বোধন করেন যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন। পরে তিনি মেলা ঘুরে দেখেন।

প্রচলিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আকিজ কলেজিয়েট স্কুল ভালো ফলাফলের দিক থেকে যেমন শীর্ষ অবস্থানে, তেমনি তাদের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চাসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্বে রোল মডেল’

বাস শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

চার দিনব্যাপী এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা অঙ্ক দৌড়, ১০০ মিটার দৌড়, চেয়ার সিটিং, গোলক নিক্ষেপসহ ২৭টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল।

বিজ্ঞান মেলায় ১৪টি স্টলে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপন করে। স্মার্ট সিটি, সোলার প্যানেলের সাহায্যে স্মার্ট স্কুল, স্মার্ট বাগান, ভূমিকম্প সতর্কতা সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ক্লিন এয়ার, স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, বন্যা পরবর্তী ভাসমান সেতু তৈরি করে জীবন ধারণ পদ্ধতিসহ নানা উদ্ভাবনী প্রজেক্ট উপস্থাপন করে দর্শকদের মন জয় করে খুদে উদ্ভাবকেরা। মেলা ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের প্রজেক্ট সম্পর্কে ব্রিফ করে তারা।

১৯৯১ সালে শিল্পপতি মরহুম শেখ আকিজ উদ্দিন প্রতিষ্ঠিত আকিজ কলেজিয়েট স্কুলটি পরিচালনা করছে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন। সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা.

শেখ মহিউদ্দিন। ভালো ফলাফলের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে দেশসেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতি রয়েছে।

ঢাকা/তারেক/রাসেল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’

‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।

বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।

তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’