আকিজ কলেজিয়েট স্কুলে বিজ্ঞান মেলা ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
Published: 29th, January 2025 GMT
বর্ণাঢ্য নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়ে যশোরে ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণে আকিজ কলেজিয়েট স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান মেলা, পিঠা উৎসব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) উদযাপন শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে। প্রতিযোগিতায় বিশেষ আয়োজন ছিল ‘বি ইনোভেট; স্টে কানেকটেড’ প্রতিপাদ্যে বিজ্ঞান মেলা। এর উদ্বোধন করেন যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন। পরে তিনি মেলা ঘুরে দেখেন।
প্রচলিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘‘আকিজ কলেজিয়েট স্কুল ভালো ফলাফলের দিক থেকে যেমন শীর্ষ অবস্থানে, তেমনি তাদের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চাসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হবে বিশ্বে রোল মডেল’
বাস শ্রমিকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩
চার দিনব্যাপী এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদা অঙ্ক দৌড়, ১০০ মিটার দৌড়, চেয়ার সিটিং, গোলক নিক্ষেপসহ ২৭টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল।
বিজ্ঞান মেলায় ১৪টি স্টলে ৬ষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের বিজ্ঞান প্রজেক্ট উপস্থাপন করে। স্মার্ট সিটি, সোলার প্যানেলের সাহায্যে স্মার্ট স্কুল, স্মার্ট বাগান, ভূমিকম্প সতর্কতা সিস্টেম, স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ক্লিন এয়ার, স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, বন্যা পরবর্তী ভাসমান সেতু তৈরি করে জীবন ধারণ পদ্ধতিসহ নানা উদ্ভাবনী প্রজেক্ট উপস্থাপন করে দর্শকদের মন জয় করে খুদে উদ্ভাবকেরা। মেলা ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের প্রজেক্ট সম্পর্কে ব্রিফ করে তারা।
১৯৯১ সালে শিল্পপতি মরহুম শেখ আকিজ উদ্দিন প্রতিষ্ঠিত আকিজ কলেজিয়েট স্কুলটি পরিচালনা করছে আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশন। সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন আদ্-দ্বীন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা.
ঢাকা/তারেক/রাসেল/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’