বাধার মুখে অপু, পরীমণির প্রশ্ন— মজা না?
Published: 29th, January 2025 GMT
মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গীচরের একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের। স্থানীয় মুসল্লিরা বিষয়টি জানতে পেরে সংগঠিত হয়ে কামরাঙ্গীচর থানায় অভিযোগ জানান। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে অপুকে ছাড়াই রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করেন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের শেষের দিকে চট্টগ্রামে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, কয়েক দিন আগে বাধার মুখে শোরুম উদ্বোধন করতে পারেনি চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরই মাঝে অপু বিশ্বাসের খবরটি চর্চায় পরিণত হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বেশ কজন তারকা অভিনেত্রী নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। চিত্রনায়িকা পরীমণি নিজের ফেসবুকে অপুকে নিয়ে প্রকাশিত খবরের লিংক শেয়ার করে লেখেন, “মজা না? মজা মজা!” পরীমণির এই পোস্ট নিয়ে নেটিজেনরাও বেশ চর্চায় মেতেছেন।
আরো পড়ুন:
মেহজাবীন-পরীমণির পর বাধার মুখে অপু
‘পরীমণির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক হতেই পারে না’
অন্যদিকে, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ফটোকার্ড শেয়ার করে লেখেন, “দুঃখিত অপুদি। আমাদের শিল্পীদের মধ্যে ইউনিটি কম থাকার কারণে তোমাকেও এভাবে অপমানিত হতে হলো। তা নাহলে মেহজাবীন, পরীমনির পর কোনো শিল্পীদের এভাবে অপমান করার আগে ৫০০০ বার ভাবতে হতো।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ২ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি শো-রুম উদ্বোধন করতে গিয়ে তাওহীদি জনতার বাধার মুখে ফিরে আসেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। গত ২৫ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে একটি শো-রুম উদ্বোধন করার কথা ছিল চিত্রনায়িকা পরীমণির। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আপত্তির কারণে টাঙ্গাইলে যেতে পারেননি এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।